১৭ই মোছলেম জগতের ইতিহাস । বালক আকবরকে উত্তরাধিকারী রাথিয় তিনি ১৫৫৬ খৃষ্টাব্দে পরলোক গমন করেন । কৈবর ১৫৫৩-১৬•৫—আকবরের রাজত্বের প্রথম সাত বৎসর কাল যুদ্ধে ব্যয়িত হইয়াছিল। ১৫৬৭ খৃষ্টাব্দে তিনি চিতোর দুর্গ ভেদ এবং আজমীর অধিকার করেন। ১৫৭০ খৃষ্টাব্দে তিনি অযোধ্যা ও গোয়ালিয়র দখল করেন এবং ১৫৭২ খৃষ্টাব্দে আহমদাবাদের স্বাধীন ছোলতানদিগকে পরাস্ত করেন । ১৫৭৮ খৃষ্টাব্দে তাহার সৈন্তাধ্যক্ষ তোদড়মল্ল কর্তৃক উড়িষ্যা বঙ্গদেশের অন্তভূক্ত হয়। ১৫৮১ খৃষ্টাব্দে কাবুল, ১৫৮৭ খৃষ্টাব্দে কাশ্মীর ১৫৯২ খৃষ্টাব্দে সিন্ধুদেশ এবং ১৫৯৪ খৃষ্টাব্দে কান্দাহার আকবরের বগুত। স্বীকার করে। অবশেষে আকবর দাক্ষিণাত্যস্থিত বেরার অধিকার করেন। তিনি অতি দক্ষতার সহিত রাজকাৰ্য্য পরিচালনা করিয়ছিলেন। এজন্ত র্তাহার নাম সৰ্ব্বত্র বিখ্যাত। র্তাহার রাজস্ব সংস্কার যেমন অতি প্রশংসনীয়, তাহার সাম্যনীতি ও বিচার নীতিও তেমন চিরবিখ্যাত। আকবর ১৬০৫ খৃষ্টাব্দে ইহলোক ত্যাগ করেন। তাহার মৃতদেহ আগ্রার নিকটবৰ্ত্তা ছেকেন্দরাভূমিতে সমাহিত আছে। ভারতের বড়লাট লর্ড নর্থব্রুক ১৮৭৩ খৃষ্টাব্দে তাহার সমাধির আবরণ জন্ত গেলাফ প্রদান করিয়া তাহার স্মৃতির প্রতি সন্মান প্রদর্শন করিয়াছিলেন । জাহাঙ্গীর ১৩০৫—২৭ আকবর পুত্র জাহাগীর ১৬০৫ খৃষ্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণ করেন। তাহার অতুল রূপগুণসম্পন্ন মহিষী মুরজাহান রাজকীয় কাৰ্য্য পরিচালনায় বিশেষ দক্ষতা প্রদর্শন করিয়াছিলেন। তৎকালীন রাজমুদ্র তাহারই নাম বক্ষে ধারণ করিয়া তৎপ্রতি সন্মান প্রদর্শন করিত। র্তাহার মৃতদেহ স্বামীর পাশ্বে লাহোরে সমাহিত রহিয়াছে। আকবর রাজধানী দিল্লী হইতে আগ্রায় স্থানান্তরিত করিয়াছিলেন।
