বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/২৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&Cゲ মোছলেম জগতের ইতিহাস । i ৭৫৬ খৃষ্টাব্দে চীন দেশে বিদ্রোহ উপস্থিত হয় । সম্রাট তনয় আববাছীয় খলিফা আল-মন্‌ছুরের সাহায্য প্রার্থনা করেন এবং র্তাহারই সাহায্যে রাজদ্রোহিদিগের নিকট হইতে অধিকৃত রাজ্য পুনরধিকার করিতে সক্ষম হন। যে সমস্ত আরব সৈন্ত যুদ্ধে সহায়তা করিয়াছিল, তাহারা চীন দেশে উপনিবেশ স্থাপন করে । ማእ»8 খৃষ্টাব্দে খলিফা হারুণ-অর-রশিদ চীন সম্রাটের নিকট দূত প্রেরণ করিয়াছিলেন। এইরূপে চীন ও আরবদের মধ্যে সখ্য সম্বন্ধ স্থাপিত হইয়াছিল এবং ধারে ধারে চীন দেশে ইছলামের প্রচার ও প্রসার হইয়াছিল। খৃষ্টীয় ত্রয়োদশ শতাব্দীতে চেঙ্গিজ কানের অভু্যুত্থানের সময়ে বহু মোছলমান মধ্য এসিয়া ত্যাগ করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন এবং দেশে দেশে ছড়াইয়া পড়িয়াছিলেন । এই সময়ে একটী নুতন মোছলেম দল চীন দেশে ইছলামের প্রভাব বৃদ্ধি করেন। চীন সম্রাট, ইছলামকে “সত্য ও পবিত্র ধৰ্ম্ম” বলিয়া স্বীকার করেন। পরিব্রাজক ইবনে বতুতা চতুর্দশ শতাব্দীর মধ্য ভাগে চীন পৰ্য্যটন বৃত্তান্তে এইরূপ লিথিয়াছেন, “প্রত্যেক্ষ শহরে মোছলেমদিগের স্বতন্ত্র নির্দিষ্ট বস্তি আছে এবং প্রত্যেক বস্তিতে মছজেদ নিৰ্ম্মিত আছে। চীনবাসিগণ মছজেদের বিশেষ সন্মান করেন। চীন দেশীয় মোছলমানগণ স্থানীয় অধিবাসিদিগের অধিকার ও সুবিধা ভোগ করিতে সক্ষম । ইহার গভর্ণর, সৈন্তাধ্যক্ষ ও মন্ত্রী পদের অধিকারী । ইহারা গণিত, জ্যোতিষ শাস্ত্রে মুদক্ষ, বাণিজ্যেও বিশেষ পটু। চীনের বর্তমান প্রজাতন্ত্র মোছলমানদিগকে পূৰ্ব্বতন শাসনতন্ত্র হইতে অধিকতর ক্ষমতা প্রদান করিয়াছে। ১৯৭২ খৃষ্টাব্দের আদমসুমারী অনুসারে চীনের মোট লোক ংখ্যা ৪০ চল্লিশ কোটা, তন্মধ্যে মোছলেম সংখ্যা ২ দুই কোটা। চীন