পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । ף כפץ প্রতি যে সকল তীব্র সমালোচনা করা হয়, তাহ অৰ্ব্বাচীনতার পরিচয় মাত্র। ইছলাম প্রাচ্য দেশের যেরূপ উন্নতি সংসাধিত করিয়াছে, য়ুরোপ পাশ্চাত্য দেশে তাহার সমকক্ষতা করিতে সক্ষম হয় নাই। ইছলাম কোটি কোটি মানবকে সভ্যতার উচ্চতর সোপানে আরোহণ করাইয়াছে, এসিয়া ও আফ্রিকার লোমহর্ষক নরবলি প্রথা উঠাইয়া সহৃদয়তা ও মার্জিত আইনের প্রতিষ্ঠা করিয়াছে, বৰ্ব্বরতার পরিবর্ভে শিল্প বাণিজ্যের অনুশীলন করিয়াছে, প্রেতাত্মা পূজার পরিবর্তে একেশ্বর উপাসনা ঘোষণা করিয়াছে । সামাজিক বীভৎস কাণ্ডের উচ্ছেদ সাধন করিয়া নৈতিক ও আধ্যাত্মিক উন্নতির বীজ বপন করিয়াছে। প্রকৃত পক্ষে বলিতে গেলে, ইছলাম পৃথিবীর ইতিহাসে যে ঘোর পরিবর্তন আনয়ন করিয়াছে, মানব তাহা কখনও বিস্মৃত হইবে না। খৃষ্ট ধৰ্ম্ম কখনও এইরূপ উচ্চস্থান অধিকার করিতে সমর্থ হয় নাই । বৰ্ত্তমান কালে ইছলামের বিরুদ্ধে যে সকল অভিযোগ আনয়ন করা হয়, তাছা প্রাচীন কালীন ঈর্ষা ও ৰিদ্বেষের পরিণতি মাত্র। ইছলাম যেরূপ অল্প সময়ে বিস্তৃতি লাভ করিতে পারিয়াছে আর কোন ধৰ্ম্ম সেরূপ পারে নাই। মধ্যযুগে যাজকশ্রেণী অস্থয়। পরবশ হইয়া ইছলামের বিরুদ্ধে যে অনুদারতা প্রদর্শন করিয়াছিল, বর্তমান যুরোপ তাহা ভুলিতে পারে নাই। যদি খৃষ্ট জগৎ নিরপেক্ষভাৰে মোছলেম ইতিহাস পাঠ করে, তবে ইছলামের নিকট ঋণ স্বীকার করিতে বাধ্য হইবে | - মেজর গ্লিন লিয়নার্ড বলিতেছেন, “আমি পূৰ্ব্ব দেশে সৰ্ব্ব অবস্থায় সৰ্ব্ব শ্রেণীর মোছলেম সংস্পর্শে আসিয়াছি এবং তাহাদিগকে জাতি বর্ণ নিৰ্ব্বিশেষে ইছলামের উদার নীতি পালনে বিশেষ প্রয়াসী দেথিয়াছি । তাহার। ধৰ্ম্মশীল, বিশ্বাসী, সরল ও সহৃদয়। আত্ম সমর্পণই তাহদের ধৰ্ম্ম। আফগান, আরব, বেলুচি, হিন্দুস্তানী, সোমালী, তুর্কী, মেছরবাসী, বাৰ্ব্বার ও মালয়বাসী সকলেই এক উদ্দীপনায় উদ্দীপ্ত, ভ্রাতৃবন্ধনে আবদ্ধ। যুদ্ধে বা শান্ধি