বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । & RS দক্ষত পৃথিবীর ইতিহাসের আশ্চর্ঘ্য পরিবর্তন সাধন করিয়াছিল। খৃষ্টীয় লেখকগণ স্বীকার করিয়াছেন যে, খৃষ্টানগণকে দীর্ঘ রাজত্বের পরও বিজিত দেশের সভ্যতা অবলম্বন করিতে হইয়াছিল। কিন্তু মোছলেমগণ তাহদের ভাষা ও কাব্য সঙ্গে লইয়। বিজিত দেশে প্রবেশ করত সভ্যতার আলোক চতুৰ্দ্দিকে বিকীর্ণ করিয়াছিল। আক্ষেপের বিষয় এই ধে, যে জাতি এককালে পৃথীজয়ী ছিল, আজ সে জাতি ঘৃণিত ও নগণ্য আখ্যা প্রাপ্ত। যে ইছলাম ইব্রাহিমী, মুছায়ী ও ইছায়ী ধৰ্ম্মের সংস্কারক ও পরিপোষক, যে ইছলাম সম্বন্ধে বেদ, পুরাণ, জেন্দ, আবেস্তl, তোবাৎ ও ইঞ্জিল প্রভৃতি ধৰ্ম্মপুস্তকে ভবিষ্যদ্বাণী ছিল, যে ইছলামেব ভিত্তির উপর ব্রাহ্মধৰ্ম্ম, শিখধৰ্ম্ম ও ভারতীয় অন্তান্ত আধুনিক ধৰ্ম্ম সংস্থাপিত, সে ইছলাম অদ্বৈতবাদ স্থাপয়িতা, যে ইছলাম সাৰ্ব্বভৌমিকত্বের প্রতিষ্ঠাতা, যে ইছলাম স্ত্রীশিক্ষার প্রথম প্ৰবৰ্ত্তক, নে ইছলাম যুদ্ধক্ষেত্রে স্ত্রী-নায়িকা প্রেরণের পথপ্রদর্শক, আজ সেই ইছলাম বৰ্ত্তমান সভ্যজাতি সমক্ষে অনাদৃত এবং সেক্ট ইছলাম আজ শিক্ষা ও সভ্যতার অন্তরায় বলিয়া গৃষ্ঠাত, ইঙ্গ বড়ই পরিতাপের বিষ্ণু! ঘে ইছলাম মধ্যযুগে তমির মধ্যে আলোক-রশ্মি বিস্তার করিয়াছিল, সেই ইছলাম আজ খৃষ্টধন্মের নিকট হেয় । সে ইছলাম বাণিজ্যের দ্বারা ভাগ্য ও সম্পদের পথ সুগম করিয়াছিল, সেই ইছলাম আজ সভ্য জগতের নিকট নগণ্য। থে ইছলাম মরুভূমি হইতে বহির্গত হইয়া প্রাচীন ভূভাগকে বৈজ্ঞানিক বলের দ্বারা জাগরিত ও সঞ্জীবিত করিয়াছিল, সেই ইছলাম ভারতবর্ষের নিকটও অনাদৃত। যে ইছলাম অগণিত শিক্ষা মন্দির ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিল, সেই ইছলাম আজ অসভ্য আখ্যা প্রাপ্ত । যে ইছলাম একতা ও ভ্রাতৃত্বৰলে এবং ক্ষমাশীলতা ও দয়াপ্রবণতার গুণে সৰ্ব্বজাতির অগ্রণী ছিল, সেই ইছলাম আজ সকল জাতি হইতে অবনত রলিয়া নিন্দিত ।