বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৩৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোছলেম জগতের ইতিহাস । ●N○○ ইছলাম আধুনিক ধৰ্ম্ম হইতেও আধুনিক। এই সমুচ্চ প্রেরণার বশবর্তী হইয়া অ৷ হজরত আরবের ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায় ও দলকে একত্রীভূত করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । তিনি যে শক্তি মোছলেমদিগের মধ্যে নিৰ্চিত করিয়াছিলেন, তাহারই ফলে তাহার পরবত্তিগণ অতুলনীয় সামাজিক, মানসিক ও রাজনৈতিক উন্নতি সাধন করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন, “লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু’ এই মহাবাণী ১৪৫৩ খৃষ্টাব্দে ভিয়েনা তোবণ পর্যান্ত পৌছিয়াছিল। আরবগণ এক নবশক্তিতে সঞ্জীবিত হইয়াছিল। তাহার কলহ বিবাদ পরিত্যাগ করিয়া জাতীয় একতার উচ্চ শিখবে উঠিয়াছিল। অ। হজরতের নম্রতা, সাধুতা ও পবিত্রত। অয়ন্ধান্ত মণির কাজ করিয়াছিল। সকলে এক অব্যক্ত প্রেরণার দ্বারা প্রণোদিত হুইয়াছিল । ইছলামত তাহাদের ধৰ্ম্ম, ইছলামই তাতাদের একমাত্র উপান্ত ইয়াছিল। য়ুরোপ ইছলামের নিকট প্রাধান্ত বিস্তার করিতে অক্ষম। ইছলাম সেরূপ প্রভাব পৃথিবীতে বিস্তার করিয়াছে, খৃষ্টধৰ্ম্ম তদ্রুপ করিতে পারে নাই । ইছলামেধ ভ্রাতৃত্ব খৃষ্টধৰ্ম্মের অনুকরণীয়। • ভদ্ধোপ্ৰল—ইছলাম છેઃ স্থায় বাকু চতুরতার উপর নির্ভর কবে না । তাই বলি, মোছলেম ভ্রাতৃবৃন্দ একবার জড়তা পরিহার কর, একবার নয়ন উন্মীলন কর, একবার “লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু” এই সত্যবাণীব মর্যাদা রক্ষা কর, একবার পূর্ব ইতিষ্ঠাস স্মরণ করিয়া কছলামের পূর্ব গৌরব পুনঃ উদ্ধার করিতে ব্ৰতী হও । আল্লাহতাআলার ইচ্ছা পূর্ণ হউক । আবার পুথিবী জ্ঞানগৰ্ব্বে গৰ্ব্বিত হউক, আবার অধ্যাত্ম-তত্ত্ব জড়তত্ত্বকে অপসারিত করুক, সকল ধৰ্ম্ম সকল জাতি একযোগে কৰ্ম্মক্ষেত্রে অগ্রসর হইয় পৃথিবীর উন্নতি সাধনে তৎপর হউক। বিদ্বেষ, কলহ, পরী: কাতরতা চিরতরে বিশ্বর্তির গর্ভে নিমজ্জিত হউক, আবার প্রকৃতি হামুক, পাপ কালিমা পুণ্যের আলোকে বিদূরিত হউক, মঙ্গলময়ের নাম সৰ্ব্বত্র