বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:মোছলেম জগতের ইতিহাস.pdf/৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩ মোছলেম জগতের ইতিহাস কোন আকর্ষণ ছিল না। মৃত্যুকালে তিনি মাত্র ৬০০ দেরহাম রাখিয়৷ গিয়াছিলেন । শিয়াগণ হজরত আলীকে অলিওল্লা বলিয়া অভিহিত করেন। তিনি ইছলামের সর্বপ্রধান ছুফি বা আধ্যাত্মিক জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। খেলাফতের অবসান ইমাম হাছাল—হজরত আলীর মৃত্যুর পর তাহার জ্যেষ্ঠপুত্র ইমাম হাছান কুফ ও তৎসন্নিকটবর্তী দেশবাসিগণ কর্তৃক খলিফারূপে নিৰ্ব্বাচিত হইলেন । ইহার অত্যন্ত্রকাল পরেই আমীর মাবিয়া ইরাক আক্রমণ করেন। ইমাম হাছান যুদ্ধে অগ্রসর হইতে বাধ্য হইলেন, কিন্তু র্তাহার অনুবৰ্ত্তী ইরাকবাসিগণ র্তাহার বিরুদ্ধাচরণ করিতে লাগিল। যে সমস্ত লোক র্তাহাকে সাহায্য করিতে প্রতিশ্রুত হইয়াছিল, তাহারাও শক্রপক্ষ অবলম্বন করিল। ইহাদের ব্যবহারে মৰ্ম্মাহত হইয়া তিনি অগত্যা মাবিয়ার সহিত এই মৰ্ম্মে সন্ধি করিলেন যে, তিনি শাসন কাৰ্য্য হইতে অবসর গ্রহণ করিবেন এবং মাধিয়া তাঙ্গার জীবনকাল পর্য্যন্ত খেলাফতে অভিষিক্ত থাকিবেন এবং মৃত্যুর পর খেলাফত ইমাম হোছানের হস্তুে প্রতাপিত হইবে, এইরূপে ৬৬১ খৃষ্টাব্দে আমীর মাৰিয়া সমগ্র রাজ্যের অধিকারী হইলেন। ইমাম হাছান পরিবারবর্গ সঙ্গ মদিনায় কালাপন করিতে লাগিলেন । কিন্তু অল্প দিন টুতে না বাইতেই :ক্র, বড়য়ে বিষপ্রয়োগে তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন। হজরত আলী কুফাতে রাজধানী স্থাপন করিয়াছিলেন, এক্ষণে মাবিয়া কৰ্ভুকু তাহা দামেস্কে পরিবর্তিত হইল । খলিফাগণের অনাড়ম্বব্লপ্রিয়তা—খলিফাগণ বিনা ੋੜ জীবন যাপন করিতেন। এতৎসম্বন্ধে “আল-বায়ুন” হইতে নিম্ন Ο κι লিখিত অংশ উদ্ধত হইল –“সমগ্র পৃথিবী স্বীকার করিয়াছে যে, খলিফা