মোছলেম জগতের ইতিহাস । סיף রাজধানী হইতে দূরত্ব এবং অন্যান্য নানা কারণ নিবন্ধন আগলাবিদগণ আপনাদিগকে বাস্তবিক স্বাধীন নৃপতি বলিয়াই মনে করিতে থাকেন। উত্তর পশ্চিম আফ্রিকার ইদ্রিছ বংশও ঠিক এইরূপেই প্রভুত্বের অধিকারী হয়। পারসিক সৈন্ত তাহের, খলিফা আমিন ও মামুনের ভ্রাতৃকলহে মামুনের পক্ষাবলম্বনপূর্বক একদিকে যেরূপ মামুনের কৃতজ্ঞতাভাজন হইয়া উঠিলেন, অন্যদিকে তেমনি স্বীয় প্রভুত্বের লিপ্তাও তাহার হৃদয়ে বদ্ধমূল ইয়া গেল। তাই মামুন তাহাকে ইচ্ছা করিয়া পোৱাছানের যে শাসনকর্তৃত্ব প্রদান করিলেন, তাহের ও র্তাহার বংশধরগণ খলিফার অনিচ্ছাসত্বেও তাহা স্বীয় বংশানুক্রমিক রাজ্যরূপে ভোগ করিতে লাগিলেন । মামুনের জনৈক তুর্কীদাসের বংশধরগণ মেছরে স্বাধীনভাবে প্রভুত্ব করিতে আরম্ভ করে। এই বংশ ইতিহাসে তুলুন বংশ নামে পরিচিত। অপর দিকে আমির আবুঢ়লাফ খলিফা আমিনের সময় হইতে প্রতিষ্ঠা লাভ করিতে থাকেন এবং অল্পকাল মধ্যে মামুনের শাসনকালে র্তাহার সন্তানগণ হামাদানের শাসনকর্তৃত্বে নিযুক্ত হন। s খলিফার শরীররক্ষী সৈন্যদল ক্রমে এরূপ দুৰ্দ্ধ এবং ক্ষমতাপন্ন হইয়া উঠে যে, খলুিফাগণ তাহাঁদের ভয়ে সৰ্ব্বদা সন্ত্রস্ত থাকিতেন এবং রাজ্যশাসন বিষয়েও তাহদেরই দ্বার। হস্তপুত্তলিকাবৎ পরিচালিত হইতেন। খলিফ মোতাছিম এই শোচনীয় অবস্থার প্রতীকার মানসে ছামার নামক স্থানে দুর্গ নিৰ্ম্মাণপূর্বক নিয়মিত সৈন্যপালনের চেষ্টা করিয়াছিলেন। উদেপ্ত ছিল, তাহদের সাহায্যে বৈদেশিক শরীররক্ষীগণের অত্যাচার হইতে প্রজাসাধারণকে রক্ষা করেন। কিন্তু তাহার উদ্দেশু মহৎ হইলেও তিনি সফলকাম হইতে পারেন নাই। কারণ বাগদাদ হইতে খলিফার অনুপস্থিতির স্বয়ােগ পাইয়া তাহের বংশ বাগাদের প্রভূ ইয়া বসিল, অপরদিকে খলিফা র্তাহার সৈন্যগণ কর্তৃক প্রায় বনীরূপে बदर्शेन করিতে লাগিলেন ।
