পাতা:মৎস্যপুরাণম্‌ (পঞ্চানন তর্করত্ন).pdf/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চনবতিতমোহ-যায়ঃ পৃষদাজ্ঞাঞ্চ সম্প্রাঙ্গ স্বপেছুমাবুদজুখ ॥ ১৬ পঞ্চদশ্বাং ততঃ পূজ্য বিপ্রান ভুঞ্জীত বাগযতঃ তদ্বৎ কৃষ্ণচতুর্দগুমেতৎ সর্ববং সমাচরেৎ ॥ ১৭ চতুর্দশীঘু সৰ্ব্বাস্থ কুর্থাৎ পূর্ববদৰ্চনম। যে তু মাসে বিশেষঃ স্ন্যস্তান নিবেধি ক্রমাদিহ ॥ ১৮ মার্গশীর্ষদিমাসেধু ক্ৰমাদেতত্বদীরয়েৎ শঙ্করায় নমস্তেহস্ত নমস্তে করবীরক ॥ ১৯ ত্র্যস্বকায় নমস্তেহস্থ মহেশ্বরমতঃ পরম । মমস্তেহস্থ মহাদেব স্থtণবে চ তত: পরম ॥২০ নমঃ পশুপতে মাথ নমস্তে শস্তবে পুনঃ । নমস্তে পরমানন্দ নমঃ সোমাদ্ধধারণে ॥ ২১ নমো ভৌময় ইত্যেবং ত্বামহং শরণং গত: | গোমুত্ৰং গোময়ং ক্ষীরং দধি সপি; কুশোদকম পঞ্চগব্যং ততো বিল্বং কপূরঞ্চাগুরুং যবাঃ । তলাঃ কৃষ্ণাশ্চ বিধিবৎ প্রাশনং ক্রমশঃ স্মৃতম্ প্রতিমাসং চতুৰ্দ্দণ্ডোরেকৈকং প্রাশনং স্মৃতম্ ॥ "মন্দার-মালতীভিশ্চ তথা ধুস্তুরকৈরপি । করিবে । পরে দধিযুক্ত স্তুত tশনপূর্ববক উত্তরমুখে ভূতলে শয়ন করিবে। অনস্তর পঞ্চদশীতে বিপ্ৰগণের অর্চনস্তে বাক্য ংযমপূৰ্ব্বক ভোজন করিবে । কৃষ্ণচতুদশীতেও এই নিয়মেই সমস্ত কাৰ্য্য করিবে । সকল চতুর্দশীতেই পুৰ্ব্বোক্ত নিয়মে কাৰ্য্য করিতে হয় । তন্মধ্যে যাহা বিশেষ আছে, তাহা ক্রমে উল্লেখ করিতেছি, অবধান কর । মার্গশীর্ষাদি মাসে যথাক্রমে শঙ্কর, করবীরক, ত্র্যম্বক, মহেশ্বর, মহাদেব, স্থাণু, পশুপতি, শস্তু, পরমানন্দ, সোমাদ্ধধারী, এবং ভীম,—ইহদিগকে নমোল্লেখ সহকারে “আমি তোমার শরণাপন্ন হইলাম ; তোমাকে নমস্কার ।” এই কথা বলিবে । পরে গোমূত্র, গোময়, গোক্ষীর, গোদধি, গোস্থত এই পঞ্চ গব্য, কুশোদক, বিশ্ব, কপূর, অগুরু, যব, তিল এবং পিপ্পলী যথাক্রমে এই সকল দ্রব্যের এক একটা প্রতিমাসে চতুর্দশীতে প্রাশন করিয়া থাকিবে । মন্দার, মালতী, ধুস্তুর, সিন্ধুবার که با | সিন্ধুবারেরশোকে মল্পিকাভিশ্চ পাটলৈঃ ॥ | অৰ্বপুপৈঃ কদম্বেশ্চ শতপত্র্যা তথোৎপলৈঃ । একেকেন চতুৰ্দ্দণ্ডোরর্ডয়েৎপাৰ্ব্বতীপতিম্। পুনশ্চ কাৰ্ত্তিকে মাসে প্রাপ্তে স পয়েদ্বিজান্‌ অন্নৈনানাবিধৈর্ভক্ষ্যের্বস্ব-মাল্য-বিভূষণে ॥ ২৬ কৃত্বা নীলরুষোৎসর্গ শ্ৰুতু্যক্তবিধিনী নরঃ । উমামহেশ্বরং হৈমং বৃষভঞ্চ গবা সহ ॥ ২৭ মুক্তফলাষ্টকযুতাং পিতনেত্রপটাবৃতাম্। সৰ্ব্বোপঙ্করসংযুক্তাং শয্যাং দদ্যাৎ সকুম্ভকাম্ তামপাত্রোপরি পুনঃ শলিতণ্ডুলসংযুতম্। স্থাপ্য বিপ্রায় শাস্তায় বেদব্রতপরায় চ ॥ ২৯ জ্যেষ্ঠসামবিদে দেয়ং ন বকব্ৰতিনে কচিৎ ৷ গুণজ্ঞে শ্রোত্রিয়ে দদ্যাদাচার্য্যে তত্ত্ববেদিনি ॥ অব্যঙ্গাঙ্গায় সৌম্যায় সদা কল্যাণকারিণে । সপত্নীকায় সম্পূজ্য বস্ব-মাল্য-বিভূষণৈঃ ৩১ গুরে সতি গুরোর্দেয়ং তদভাবে দ্বিজাতয়ে । অশোক, মাল্লক, পাটল, অর্কপুষ্প, কদম্ব, দুৰ্ব্বা, উৎপল,—এ সকলের এক একটী দ্বারা এক এক চতুর্দশীতে পাৰ্ব্বতীপতিকে পূজা করিবে ॥১৫—২৫। পুনরায় কাৰ্ত্তিক মাস উপস্থিত হইলে নানাবিধ ভক্ষ্য-ভোজ্য-বস্ত্রমাল্য-ভুষণাদি দ্বারা ব্রাহ্মণগণকে সম্ভোষিত করিবে । পরে নর শ্রুতু্যক্ত বিধান অমুসারে একটা নীলরুষ উৎসর্গ করিবে । আর কাঞ্চনরচিত উমামহেশ্বরমূৰ্ত্তি ও একটা বৃষভ, আটট মুক্তফলযুক্ত করিয়া দান করিতে হয়। শ্বেতস্তরণশোভিত সৰ্ব্বোপকরণযুক্ত পুর্ণকুম্ভ সহ একখানি শয্যাও দান করিবে । অতঃপর তামপাত্রোপরি শালি তণ্ডুল স্থাপনপূর্বক শাস্তচেতা জ্যেষ্ঠসীমগ বিপ্লকে উক্ত উমা-মহেশ্বর প্রতিম দান কারবে ; কিন্তু বকব্ৰতী ব্যক্তিকে দিতে নাই । গুণজ্ঞ, শ্রোত্রিয়, তত্ত্ববেত্তা আচাৰ্য্যকেই ইহা দান করা কৰ্ত্তব্য। অবিকৃতাঙ্গ, সৌম্যমূৰ্ত্তি, সদাচারী, সপত্নীক দ্বিজকেই বস্ত্ৰ-মাল্যtভরণে ভূষিত করিয়া দান করা যুক্তিযুক্ত। গুরু উপস্থিত থাকিলে তাহাকেই দান করা উচিত ; পরপ্ত তদভাবে অপর দ্বিজাতিকেই