পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতাপের আয়োজন }\ప్రిలి উত্তরাধিকারী। পাঠান ভূপতির রক্তসম্পর্কিত ওসমান উড়িষ্য অঞ্চলে যে পাঠান শক্তির উদ্বোধনের জন্ত আমরণ চেষ্টত ছিলেন, প্রতাপাদিত্য আপনাকে বঙ্গদেশে পাঠানের উত্তরাধিকারী কল্পনা করিয়া, সেই পাঠান প্রতিপত্তি অক্ষুন্ন রাথিতে উদ্যোগী হইলেন । মিথ্যা কথা বলিয়া এবং সামন্তরাজ হইবার অঙ্গীকার করিয়া আকবর বাদশাহের নিকট হইতে সনন্দ লাভ করা প্রতাপের একটি যৌবনসুলভ চাপল্যের ফল ; সে দুরভিসন্ধি তাহার চরিত্রানুগত নহে এবং তদ্বারা তাহার চরিত্রে দুরপনেয় কলঙ্কই আরোপিত হইয়াছে । পাঠানের যখন প্রথম বঙ্গদেশ জয় করিয়াছিল, তখন তাহারা বিদেশীয় এবং শত্রুর মত বিবেচিত হইত। শেষে পাঠানেরা এদেশে স্থায়িভাবে বাস করিম ; বঙ্গের অন্ন, বঙ্গের পণ্য, বঙ্গের সুখদুঃখ সকলষ্ট তাহার। আপন করিয়া লইল । তখন পাঠানে হিন্দুতে গলাগলি, কোলাকুলি বন্ধুত্ব হইল। হিন্দু পাঠান হইল, পাঠান হিন্দুর মতে মিশিতে লাগিল। তৎপরে আসিল—মোগল। পশ্চিমাঞ্চলকে অসিমুথেও অগ্নিমুখে দিতে দিতে যখন মোগল আসিল, তখন হিন্দুর নিকট মোগল হইল শক্র, আর পাঠান হইল আপন জন । হিন্দুরা এ ভাব পোষণ করিতে করিতে, যখন ত্বরিতে মোগলের হাতে পাঠান হারিল এবং অবশেষে তাড়িত হইয়া দেশ ছাড়িল, তখন দেশ মধ্যে একটা তীব্র কল্পনা ইহাই জাগিল, কেমন করিয়া মোগল শক্রর ধ্বংস করিয়া দেশকে পুনৰ্ব্বার পাঠান শাসনতলে স্থাপন করা যায়। তাই প্রতাপ পাঠান সৈন্ত ও পাঠান সেনানীর সহায়তা পাষ্টয়া মোগলের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করিয়াছিলেন । তৃতীয়তঃ বঙ্গদেশে হিন্দুশক্তির পুনঃ প্রতিষ্ঠা করিবার জন্য প্রতাপ চেষ্টিত হইয়াছিলেন। আত্মপ্রতিষ্ঠা তাহার প্রথম উদ্দেশ্য হইতে পারে, পাঠানের সমর্থন তাহার অব্যর্থ লক্ষ্য থাকিতে পারে, কিন্তু কাৰ্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়৷ স্বীয় সামর্থ্যের সফলতা দেখিয়া অবশেষে জাতীয় গৌরবের জন্য প্রাণপাত করিবার কল্পনা তাহাকে যে অমান্তর্ষিক কার্ধে উক্তি করিয়াছিল, তাহাতে সন্দেহ নাই। পাঠানের জন্য চেষ্টা করিতে হইবে বটে, কিন্তু আত্মকলহের জন্ত যদি পাঠানের দিন শেষ হইয়া থাকে, • পাঠান যদি কিছুতেই আর না জাগে,

  • Sher-Khan once said : “I will very shortly expel the Mughals from Hind, for the Mughals are not superior to the Afghans in battle or single