পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহর-খুলনার ইতিহাস رمان উনবিংশ পরিচ্ছেদ-প্রতাপের দুর্গ-সংস্থান প্রতাপাদিত্য যে বিশেষভাবে রাজনীতি-বিশারদ ছিলেন, তাহার দুর্গসংস্থান দেখিলে উহা সকলেরই সহজে বোধগম্য হয়। প্রতাপ রাজত্ব করিতে করিতে সময় ও প্রয়োজন বৃঝিয়৷ নানাস্থানে দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করেন। প্রথমতঃ সমস্ত দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিবার পরই যে তিনি স্বাধীনতা প্রচার বা শত্রর সহিত যুদ্ধারম্ভ করিয়াছিলেন, তাহা নহে। দুর্গগুলি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উদ্দেন্তে গঠিত হয়। কখন্‌ কোনটি বা কোনটির পর কোনটি নিৰ্ম্মিত হয়, তাহ ঠিক ভাবে নিৰ্দ্ধারণ করিবার উপায় নাই। আবার দুর্গগুলির বিষয় আনুমানিক সময়ানুযায়ী বিভিন্ন স্থানে নানাজাতীয় ঘটনার মধ্যে পৃথক পৃথক ভাবে বর্ণিত হইলে, প্রতাপাদিতোর যুদ্ধনীতি জ্ঞানের কোন সজীব আভাস পাওয়া যাইবে না। এজন্য আমরা এখানে একই স্থলে সকল দুর্গের ও তৎসংশ্লিষ্ট নৌবাহিনী প্রভৃতির প্রধান প্রধান আডড গুলির একটি সংক্ষিপ্ত ইতিবৃত্ত গ্রন্থিত করিলাম। দুর্গগুলির প্রয়োজনীয়তা ঘটনাবলীর সহিত যথাস্থানে উল্লিখিত হইবে। আমরা পূৰ্ব্বে বিশদভাবে দেখিয়াছি যে, যশোর-রাজ্যের প্রথম রাজধানী মুকুন্দপুরে ছিল ; তথায় প্রথম দুর্গ নিৰ্ম্মিত হয়। রাজধানীর নাম যশোহর হইয়াছিল, বলিয়া তথাকার দুর্গকে আমরা (১) যশোহর-দুর্গ বলিয়াছি। পরে প্রতাপাদিত্য নিজে যমুনা-ইছামতীর সঙ্গমে ধূমঘাটে নূতন রাজধানী স্থাপন করিলে, সে সহরের নাম পরে যশোহর হইয়াছিল বটে, কিন্তু দুর্গটিকে আমরা (২) ধূমঘাট দুর্গ বলিতে পারি। ইহাই রাজ্য মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান এবং সৰ্ব্বাপেক্ষা মুরক্ষিত দুর্গ। প্রতাপের রাজত্বের শেষভাগে প্রথম রাজধানী নগণ্য হইয়া পড়ে, এবং তখন ধূমঘাটকেই যশোহর সহর বলিত ; এমন কি, বসন্তপুর হইতে ঈশ্বরীপুর পর্যন্ত সমস্ত স্থানটিরই সাধারণ নাম যশোহর হইয়াছিল। এই সময়ে মুকুন্দপুরের পৃথক নামকরণ হয় ; নতুবা পূৰ্ব্বে তাহার নাম যশোহরই ছিল। মুকুন্দপুর ও ধূমঘাট এই দুইটি দুর্গের বিশেষ বিবরণ আমরা পূৰ্ব্বে দিয়াছি। এখন অন্তান্ত দুর্গের কথা বলিব। বিক্রমাদিতোর জীবদ্দশায় যশোররাজ্য দ্বিধা বিভক্ত হয় ; পূৰ্ব্বদিকের ॥yo অংশ প্রতাপাদিত্য পান ও পশ্চিমভাগের lv০ অংশ বসন্তুরায় ও র্তাহার