পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ》や যশোহর-খুলনার ইতিহাস অল্পদিন মধ্যে ধূমঘাট বাসের অযোগ্য হইলে, মোগল ফৌজদার কিছু দিনের জন্য জাহাজ ঘাটার গৃহে অবস্থান করিয়াছিলেন। জাহাজ ঘাটার একটু উত্তরে একটি টিপি আছে ; কেহ কেহ অনুমান করেন, এখানে পটুগীজ পোতাধ্যক্ষ ও র্তাহার স্বজাতীয়দিগের জন্য একটি গীর্জা ছিল ; অনুমান অযৌক্তিক নহে, কারণ পার্শ্ববৰ্ত্ত মোতলায় মুসলমান দিগের জন্ত একটি মসজিদ আছে। হিন্মুদিগের ত কথাই ছিল না ; নিকটবৰ্ত্ত নকীপুর, পরমানন্দ কাঠি ও গোপালপুরে অনেকগুলি হিন্দু মন্দির ছিল। জাহাজঘাট ও মেীতলার কতকাংশ লইয়া পরিখাবেষ্টিত দুর্গ ছিল। এখানে নেী-সৈন্ত ও গোলনাজ সৈন্তের বাস করিত। উত্তরদিক দিয়া পরিখার পরিচয় স্বরূপ একটি কাটাখালি আছে। ঐ খালে এখনও অনেক স্থানে জল থাকে। দুর্গের উত্তরপুর্ব কোণে থালের দক্ষিণ গায়ে মেীতলার প্রসিদ্ধ মসজিদ । উহ এখনও সুন্দর অবস্থায় আছে এবং স্থানীয় বহুলোকে সেখানে নেমাজ করে। এই মসজিদের জন্তই স্থানটির নাম হইয়াছে নেমাজ গড়। মসজিদটির ভিতরের মাপ ১৯ – ২^x ১৯-২ ইঞ্চি ; ভিত্তি ৩—৩% মাটি হইতে গুম্বজের নিম্ন পৰ্য্যন্ত উচ্চতা ১২ ফুট ; একটি মাত্র বড় গুম্বজ, মিনার নাই। পূৰ্ব্বদিকে ৩টি এবং উত্তর দক্ষিণে প্রত্যেক দিকে ২টি করিয়া দরজা। পরবাজপুর ও ঈশ্বরীপুরের বিখ্যাত মসজিদের মত, এই নেমাজ গড়ের মসজিদও প্রতাপাদিত্যের উদারতার পরিচয় দিতেছে। জাহাজঘাট হইতে একটু উত্তর দিকে গিয়া যমুনার পশ্চিম পারে দুধলি ডক্ বা পোত নিৰ্ম্মাণ স্থান। কৰ্ম্মাধ্যক্ষ ফ্রেডারিক ডুডলির (Dudley) নামানুসারে এই স্থানটির নাম হইয়াছে ধলি । এই স্থানে পূৰ্ব্বদিক হইতে একটি খনিত খাল আসিয়া যমুনায় মিশিয়াছে এবং উহা অপর পার হইতে বরাবর পশ্চিম দিকে চলিয়া গিয়াছে ; এই থাল হইতে উত্তরপূর্ব মুখে একটি পাশখালি বাহির করিয়৷ একটি কৃত্রিম হ্রদে মিশান হইয়াছিল। বড় বড় জাহাজ সংস্কারের জন্ত এই খাল দিয়া আসিয়া এই হ্রদে নামিতে পারিত ; এবং সেখানে প্রবেশপথ বন্ধ করিয়া দির, হ্রদটিকে শুষ্ক করিয়া লইয়া জাহাজের তলদেশ পরীক্ষা বা সংস্কার করা বাইত। উক্ত খালের মুখ হইতে বরাবর উত্তর দিকে নদীর পশ্চিম পার্শ্ব দিয়া বড় পুষ্করিণীর মত কতকগুলি খাত কাটা রহিয়াছে। দুই দুইটি খাতের মধ্যবর্তী