পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রতাপের রাজত্ব ఫిలిd বৎসরই মহারাণী শরৎকুমারীর গর্ভে র্তাহার প্রথম পুত্রের জন্ম হয়। মায়ের আবির্ভাবে যে ভাগ্যোদয় হইয়াছিল, তাহার স্মৃতিরক্ষার জন্য তিনি পুত্রের নাম বাখিলেন—উদয়াদিত্য। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, প্রতাপাদিত্যের পূৰ্ব্বনাম ছিল গোপীনাথ ; ভক্ত বসন্তরায় গোপীনাথের প্রথম পুত্রের নাম রাখিলেন জগন্নাথ। আমরা পরে দেখিব, স্বদেশের জন্ত যুদ্ধ ক্ষেত্রে প্রাণ দিয়৷ এই পুত্র যথার্থই বংশের নাম উজ্জ্বল করিয়াছিলেন। নূতন দুর্গ, নুতন ইষ্টদেবতা এবং নবকুমার লাভ এই তিনটি ঘটনার জন্য এই বৎসরটি বিখ্যাত হইয়৷ থাকিল। বিক্রমাদিত্যের মৃত্যু হটতে গত কয়েক বৎসর যাবত প্রতাপ ও বসন্ত রায় প্রাচীন রাজধানীতেই বাস করিতেছিলেন। ১৫৮৭ অব্দে ধূমঘাট দুর্গ ও তৎসংলগ্ন আবাসবাটিকাদি নিৰ্ম্মিত হইলে, প্রতাপ সপরিবারে তথায় স্থানান্তরিত হইলেন এবং বসন্ত রায়ের উৎসাহে ও সুব্যবস্থায় তথায় তাহার পুনরাভিষেক ক্রিয় স্বসম্পন্ন হইল। এই উপলক্ষ্যে বঙ্গদেশের সর্বত্র হইতে ভূঞারাজগণ নূতন রাজধানীতে সমাগত হইলেন। তাছাদের অভ্যর্থনার জন্ত মহা ধুমধাম হইল এবং সঙ্গে সঙ্গে ধুমঘাটের নাম দেশে বিদেশে বিজ্ঞাপিত হইয়া থাকিল। প্রতাপ এষ্ট সকল ভূঞা-নৃপতিগণের সহিত নূতন রাজনীতির আলোচনা করিতে লাগিলেন ; কিরূপে সকলে সমবেত হইলে সকলের সাধারণ শক্ৰ মোগলকে দেশ হইতে বিতাড়িত করা যায়, ইহাই তাহাদের মন্ত্রণার প্রধান বিষয় ছিল। অবশু পক্ষভুক্ত পাঠান সর্দারের এ বিষয়ে তাহাদিগকে যথেষ্ট আশ্বাস ও উৎসাহ দিতেছিলেন। ইহাতে যে শুধু দেশ-মাতৃকার সেবা হইবে, তাহা নহে ; স্বকীয় স্বার্থ ও দেশের উন্নতির পন্থাও উদ্ভাবিত হইবে । এ কল্পনায় প্রতাপই নিজের অত্যধিক আগ্রহের পরিচয় দিলেন, কে কে অগ্রণী হইবেন, কোন দেশ হইতে কোন প্রকার সৈন্ত সংগৃহীত হইবে এবং কি ভাবে সমবেতভাবে কাৰ্য চলিবে, ইহাই বিষম বিতর্কের বিষয় হইল। কেহ সন্ধুদেষ্ঠ বুঝিয়া সম্মতি দিলেন, কেহ ইহাকে প্রতাপের আত্ম-প্রাধান্ত স্থাপনের কৌশল মনে করিয়া স্পষ্ট ভাবে মতামত দিলেন না। যাহ স্থির হইল, তাহা আপাতত: অপ্রকান্ত রাখা হুইবে, এবং উপযুক্ত আয়োজন করিয়া ভবিষ্যতে দূতের সাহায্যে কাৰ্য্যপ্রণালী নিৰ্দ্ধারণ করিয়া লওয়া হইবে। শঙ্কর চক্ৰবৰ্ত্ত এই সকল কুটমন্ত্রণায় যথেষ্ট দক্ষত দেখাইলেন। তবে বসন্তু রায় এই ব্যাপারে যোগদান করিলেননা; মোগলের বিপক্ষে দণ্ডায়মান