পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ধি-বিগ্ৰহ ՀԵ'é সন্ধিস্থত্রে আবদ্ধ হইলেন। কেদার রায়ের মৃত্যু পর্যন্ত এই সন্ধি অক্ষুণ্ণ ছিল বলিয়া বোধ হয়। শাস্ত্রী মহাশয় বলেন, অত্যর কাল পরে এই সন্ধি ভঙ্গ হইয়াছিল, তখন প্রতাপাদিত্য বিপুল বাহিনী সাজাইয়া লইয়া স্বয়ং কেদার রায়ের রাজ্য আক্রমণ করেন এবং কেদার পরাজিত হইয় প্রতাপের “চরণতলে অস্ত্র সমর্পণ করেন।”w এ কথার কোন প্রমাণ পাই নাই। প্রতাপ ও কেদার উভয়ই তখন বঙ্গের প্রধান বীর, তাহাদের মধ্যে কোন প্রবল যুদ্ধ হইয়া থাকিলে প্রবাদে, গল্পে বা অন্ততঃ ঘটকের পুথিতে তাহার খবর থাকিত। সেরূপ কিছু নাই। ঘটকের লিথিয়াছেন বটে ;— “জিত্ব বঙ্গাধিপান বরান রাঢ়াধিপান মহাবলান। আসমুদ্র-করগ্রাহী বভূব নৃপ-শার্দুল ।" প্রতাপের যশোর-রাজ্য সমুদ্র পর্য্যন্ত বিস্তৃত ছিল, সুতরাং তাছার পক্ষে "আসমুদ্র-করগ্রাহী" হওয়া বিশেষ কথা ছিল না ; তিনি বাস্তবিকই দক্ষিণ দেশীয় দস্থ্য-দুৰ্ব্বত্ত দমন করিয়া সমুদ্র-বক্ষে বা নদীপথে বৈদেশিক ব্যবসায়ীর নিকট হইতে শুল্ক আদায় করিতেন। তিনি অনেক ক্ষুদ্রবহৎ তুপতিগণকে নির্জিত করিয়াছিলেন, তাহাও সত্য কথা । কিন্তু তন্মধ্যে কেদার রায় ছিলেন না ; থাকিলে সে কথা গল্পগুজবে বা গ্রাম্য কবিতায়ও আত্মরক্ষা করিত। সুতরাং শাস্ত্রী মহোদয়ের এই যুদ্ধাভিযান সম্বন্ধীয় কাল্পনিক বর্ণনা সমর্থন করিতে পারিলাম না। “বাঙ্গালা বেহার সমস্তই প্রতাপাদিত্যের অধিকার”—রামরাম বস্থ মহাশয়ের এই অতিশায়োক্তির কোন ঐতিহাসিক প্রমাণ নাই।

  • "প্রতাপাদিত্যের জীবনচরিত’ ৯১%;