পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

«ბვy যশোহর-খুলনার ইতিহাস সেখানে একটি সাময়িক দুর্গও প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। সম্ভবতঃ হাসনাবাদের সন্নিকটে মোগল সৈন্তের গতিরোধের জন্ত সামান্ত সংঘর্ষ হয় ও তাহাতে বহু সৈন্ত হতাহত হইয়াছিল। যেখানে ঐ সংঘর্ষ হয়, তাহারই বর্তমান নাম লস্করপুর । মানসিংহের সঙ্গে যে ২২ জন সেনানীর অধীন ২২টি লস্কর বা সৈন্তের দল আসিয়াছিল, তাহাদের সহিত যুদ্ধের স্মরণার্থ লস্করপুর নাম হওয়া বিচিত্র নহে। ঐ স্থানে কিছুদিন পূৰ্ব্বে একটি পুষ্করিণী খনন কালে রাশি রাশি মনুষ্যস্থি আবিষ্কৃত হইয়াছিল। যুদ্ধ-মৃত সৈন্ত ব্যতীত সাধারণ লোককে তেমন রাশীকৃত করিয়া একস্থানে কবর দেওয়া হয় না। বুড়নহাটি ছাড়িয়া একটু দক্ষিণে গিয়া মোগল সৈন্ত কালিন্দী পার হইয়াছিল। বসন্তপুরের পশ্চিম দিয়া এখন ষে বিশালকায়৷ তরঙ্গবিক্ষুব্ধ কালিনী নদী প্রবাহিত হইতেছে, তখন তাহার সে মূৰ্ত্তি ছিল না । তখন কালিন্দী বিশীর্ণ ক্ষুদ্র স্রোতস্বতী মাত্র। মানসিংহ অনতিবিলম্বে এই কালিন্দী খাল পার হইয়া বসন্তপুরে ছাউনী করিলেন। একটু দূরে দক্ষিণ দিকে সরিয়া কালিী পার হইলে, ইচ্ছামতীর বক্ষ হইতে রণতরী সমূহের কামানশ্রেণী কোন বাধা দিতে পারে না। এখন যে স্থানটিকে বাগ বসন্তপুর বলে, সেই স্থানে প্রায় দুই মাইল জুড়িয়া মোগল শিবির স্থাপিত হইয়াছিল। একত্রিংশ পরিচ্ছেদ মানসিংহের সঙ্গে যুদ্ধ ও সন্ধি মানসিংহ কালিন্দী পার হইয়া বসন্তপুরে ছাউনি করিলেন, কারণ র্তাহার আর অগ্রসর হইবার উপায় ছিল না। সেই স্থানে তিনি আসিয়া দেখিলেন, চারিধারে প্রতাপাদিত্যের বিভিন্ন প্রকারের সৈন্তসমূহ ঘনীভূত মেঘমালার মত সমবেত হইতেছে। মোগল শিবিরের দক্ষিণ দিকে মুকুন্দপুরের গড়-বেষ্টিত দুর্গ। ইহাই ষে যশোর-রাজ্যের প্রথম ও প্রাচীন রাজধানী, তাহ আমরা পূৰ্ব্বে স্থির করিয়াছি (১৫১ পৃ: )। রাজধানীর সে পরিখা-বেষ্টত দুর্গ-প্রাকারের উপর সারি সারি কামানশ্রেণী সুসজ্জিত। পার্শ্ববৰ্ত্ত বারকপুর ও পরবাজপুর প্রভৃতি স্থানে অশ্বারোহী ও পদাতিক সৈন্যসমূহ সমবেত হইতেছিল। বসন্তপুরের উত্তর কোণ