পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৪৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२९ যশোহর-খুলনার ইতিহাস সবাইএর প্রপৌত্র মথুরেশের এক পুত্র নন।কিশোরের ধারা আমরা কতক দেখাইয়াছি ; মথুরেশের অন্ত পুত্র ঐরামের ধারা এই – ২২ শ্রীরাম–২৩ গোপাল—২৪ রাধাকান্ত—২৫ রামনিধি—১৬ রামনারায়ণ ---২৭ রামর্চাদ--২৮ শিবচন্দ্ৰ—২৯ প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপধ্যায়, এম, এ, ইনি “গ্রীক ও হিন্দু প্রভৃতি কয়েকখানি প্রসিদ্ধ গ্রন্থের লেখক, প্রসিদ্ধ পণ্ডিত ও সন্মানিত উচ্চ রাজকৰ্ম্মচারী। সবাই বাড়য্যের কনিষ্ঠ ভ্রাতা সুন্দর মন্ত্র প্রতাপাদিত্যের একজন সেনানী। সম্ভবতঃ আমরা তাঙ্গর তীরন্দাজ সৈন্তের অধিনায়ক ধে মুন্দরের কথা বলিয়াছি ( ১২৫ পৃঃ । তিনি ও সুন্দর মল্ল অভিন্ন ব্যক্তি। প্রতাপাদিত্যের পতনের পর স্বন্দর বা তাছার পুত্র বিষ্ণুচরণ সিদ্ধান্ত ভৈরবকুলে সেনহাটি আসিয়া বাস করেন। কাঞ্জারি ও কাটানি বংশেৰ সহিত বৈবাহিক সম্বন্ধ-স্বত্রই তাহাদের সেনহাটি আসিবার কারণ। বিষ্ণুচরণ সিদ্ধান্তের সস্তান সন্ততি বৃদ্ধি হইলে, যে পাড়ায় তাহার বাস করেন, তাহার নাম হইয়াছে “সিদ্ধান্তপাড়া”। পূৰ্ব্ব হইতেই তাঙ্গার মুকুন্দপুরের রায় মহাশয়দিগের গুরু ; তাহার যে এক সময়ে যশোহর রাজধানীর সন্নিকটে বাস করিতেন, ইহা দ্বারা উচ্চ প্রমাণ করে। সেনহাটির সিদ্ধান্ত-বংশ আছোপান্ত পণ্ডিতের বংশ এবং বহু কায়স্থ ও ব্রাহ্মণ পরিবারের গুরুবংশ। বিষ্ণুচরণের পৌত্র নারায়ণ তর্কলঙ্কার প্রখ্যাতনামা পণ্ডিত ছিলেন। নারায়ণের পৌত্র কৃষ্ণদেবের সময় মুকুন্দপুর রায়বংশীয় জনৈক শিষ্য কর্তৃক ১৬৫৭ শকে (১৭৩৫ খৃঃঅঃ) যে শিবমন্দির নিৰ্ম্মিত ও পুষ্করিণী খনিত হয়, উহ! এখনও আছে। উহার সংস্কারাদির বায় সেই বংশীয় ঐযুক্ত বাৰু লক্ষ্মণচন্দ্র রায় প্রভৃতি এখনও বহন করিয়া থাকেন। কৃঞ্চদেবের বৃদ্ধপ্রপৌত্র হরিনাথ বেদান্তবাগীশ অসাধারণ পাণ্ডিত্যশালা হইয়া বদ্ধমানরাজের বিজয়-চতুষ্পাঠীর প্রধান অধ্যাপক পদে সমাসীন ছিলেন। আমরা তাছাকে বিশেষভাবে জানিতাম এবং তঁহার স্বহের গুণে ও চরিত্রমাধুর্য্যে একান্ত আকৃষ্ট হইয়াছিলাম। তিনি সুন্দরের বংশধারা পবিত্র করিয়া গিয়াছেন। বেদান্তবাগীশ মহাশয় স্বীয় বংশ-গৌরব সম্বন্ধে “সুন্দর: সিদ্ধান্ত শ্রষ্ঠঃ থাতো বংশে বলিগণৈঃ” এইরূপ একট শ্লোক্ষাংশ আবৃত্তি করিতেন, এখন আর তাহ উদ্ধারের পন্থা নাই।

  • * *