পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8&b" 。 যশোহর-খুলনার ইতিহাস ও কৃষ্ণকান্তী দুই দলের স্বষ্টি হওয়ায় যশোহর সমাজ তিন ভাগে বিভক্ত হইয়া যায়। বিশ্ববিখ্যাত প্রত্নতাত্ত্বিক ডাক্তার রামদাস সেন এই কৃষ্ণকাস্তের ভ্রাতুষ্পৌত্র। পুড়ার রামভদ্র রায়ের বংশধর ত্রযুক্ত নিখিলনাথ রায় ডাক্তার রামদাসের জামাতা। নিখিলনাথ প্রতাপাদিত্যের ইতিহাস সঙ্কলনে বহু চেষ্টা ও গবেষণা করিয়া সৰ্ব্বসাধারণের ধষ্ঠবাদাহ হইয়াছেন । রাজা নীলকণ্ঠের চারি পুত্র, তন্মধ্যে চতুর্থ পুত্র ব্ৰজমোহন নয় আনী বিষয়ের পনর পাই ভাগী ছিলেন। তিনি জ্যেষ্ঠ ভ্রাতার সহিত গোড়গাছি না গিয়৷ মুরনগরের অন্তর্গত মাণিকপুরে বাস করেন । তদ্বংশীয়গণ এখনও সেখানে বাস করিতেছেন। রাজ মুকুন্দদেবের ধারায় তাহার প্রপোল্ল নৃসিংহদেব হইতে রাজেন্দ্রনাথ পর্য্যস্ত তিন পুরুষ দত্তক পুত্র ছিলেন। অতি অল্প দিন হইল প্রায় সপ্ততিবর্ষ বয়সে রাজ রাজেন্দ্রনাথ দেহ ত্যাগ করিয়াছেন। তিনি অতি সজ্জন, ভক্তিমান ও বিদ্যোৎসাহী পুরুষ ছিলেন। তৎপুত্র রাজা গিরীন্দ্রনাথ এক্ষণে সব রেজেষ্টারী চাকরী করিতেছেন। তিনি বংশগৌরব রক্ষার জন্ত একান্ত অনুরাগী ; তাঙ্গার রাঙ্গোচিত সদাশয়ত ও অমায়িক ব্যবহারে সকলেই মুগ্ধ হন। সাত আনীর অংশে স্যামসুন্দর হইতে র্তাঙ্গার প্রপৌত্র রামনারায়ণ পর্যন্ত সকলে রামজীবনপুরে বাস করিতেছিলেন। রামনারায়ণের সময় পাশ্ববৰ্ত্তী কাটুনিয়া গ্রামে বাট পরিবর্তনের ব্যবস্থ হয়, এবং তাছার পুত্ৰগণই তথায় বাস করেন। মধ্যম পুত্র জয়নারায়ণের পৌত্র রাজা যতীন্দ্রমোহনের কথা বিশেষভাবে পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, । ১৬১ পৃঃ যতীন্দ্রমোহনের মধ্যম ভ্রাতা মতীন্দ্র রামনগরে বাস করিতেছেন। ব্রজেন্দ্রনারায়ণের পুত্র রাজ রমেশচন্দ্রের কথা আমরা বেদকাশীর শিলালিপি সম্পর্কে পূৰ্ব্বে বলিয়াছি, (২৬৪ পৃ: )। এখন শুধু নয় আনী বা সাত আনী উভয় তরফের অংশীবর্গের রাজা নামই আছে ; সে বিষয় সম্পদ বা প্রবল প্রতিপত্তি কিছুই নাই , ছিন্নভিন্ন শতবিভক্ত সৱিকী সম্পত্তির ভাগ যাহা কিছু যাহার ভাগে পড়িয়াছে, তারা অনেক পরিবারের ব্যয় নিৰ্ব্বাহ হয় না। তবু তাহার রাজা,--বঙ্গদেশের শেষ স্বাধীন নৃপতির অশেষ কীৰ্ত্তিকাহিনীর স্মৃতি লইয়া গৌরবান্বিত। ভাগ্য চিরদিন সমান থাকে না ; কিন্তু ভাগ্যবানের বংশধর হওয়াও সৌভাগ্যের ৰিষয় ।