পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহরের ফৌজদারগণ 886. তিনি খেলাত ও সম্মান-ভারাক্রান্ত হইয় গুজরাটে পুনঃ প্রেরিত হন । ১৬২২ অন্ধ পর্যন্ত তিনি বঙ্গে আসেন। সম্ভবতঃ তৎপরে অর্থাৎ আনুমানিক ১৬২৫ খৃষ্টাব্দে তাঙ্গকে যশোহরের ফৌজদার করিয়া পাঠান হয়। এ সময়ে চাদ রায় আঁধারমাণিকে থাকিয় রাজত্ব করিতেছিলেন। সরফরাজ খ! বড় অর্থপিপাসু ছিলেন, তিনি প্রজার সুখ-শাস্তির দিকে দৃষ্টিপাত না করিয়া, কিরূপে তাঙ্গদের অর্থশোষণ করিতে পারেন, তাহারই জন্য চেষ্টত ছিলেন। তিনি গৌড়ের মশঃ হরণকারী যশোহরের ধনসমৃদ্ধির গল্প শুনিয়া আসিয়াছিলেন, যশোহরের ফৌজদারী চাকরীতে বেশ অর্থাগম হয় বলিয়াই আগ্রা, দিল্লীর আমীরের শরীরের দিকে না চাহিয়া সুন্দরবনে আসিতে চাহিতেন। সরফরাজ শাসনকাৰ্য যত করিতে পারুন বা না পারুন, সকল কার্ঘ্যে অগ্রণী হইয়৷ বাকা-কৌশলে উপরওয়ালাকে বশীভূত রাখিয়া অর্থসংগ্রহের পথ দেখিতেন । শূন্তগর্ভ প্ৰগল্‌ভতাকে এখনও লোকে “সরফরাজী” করা বলিয়া থাকে। যশোহরের ধনদৌলতের কথা তিনি একাকী শুনেন নাই, বহুদিন হইতে মগ, ফিরিঙ্গি প্রভৃতি দমু্যরা সেই লোভে এই দেশের উপর পড়িতে চেষ্টা করিত। কিন্তু প্রতাপাদিত্য কতশত থগুযুদ্ধে তাহাদিগকে পযুদস্ত করিয়া নিরস্ত রাখিয়াছিলেন। এখন প্রতাপ নাই, চাদ রায় স্থানান্তরিত এবং তাহার দমাদমনের ক্ষমতাও ছিল না । অথচ ঘটনাক্রমে সেই সব দম্বারা আবার নূতন করিয়া মাথা উচু করিয়া যশোহরে আনাগোনা করিতেছিল। সরফরাজের সাধ্য কি যে তাহাদিগকে নিবৃত্ত করেন । অথচ তাহাদিগকে থামাইতে না পারিলে নিজের ভাগও কম পড়ে, হয়তঃ যশোহরে তিষ্ঠিবার ভাগ্যও উঠিয়া যায়। এজন্ত, কথিত আছে, তিনি অর্থ দিয়া তাহাদিগকে বশীভূত করিয়া দূৰ্ববৰ্ত্তা রাখতেন। সে অর্থ তাহাকে ঘর হইতে আনিয়া দিতে হইত না। মগ, ফিরিঙ্গির অত্যাচার-কাহিনা আমরা পূৰ্ব্বে বিশেষভাবে বিবৃত কবিয়াছি। কিন্তু প্রতাপের পতনের পর তাহাদের অবস্থা কি দাড়াইয়াছিল, কেন তাহারা এই সময়ে দম্বাবৃত্তিতে অধিকতর মনোযোগী হইয়াছিল, সংক্ষেপে সে কথা না বলিলে প্রকৃত অবস্থা বুঝা যাইবে না। সিবষ্টিয়াও গঞ্জেলিস টিবো ( Sebastiao Gonsalves Tibau ) AfRT ARFRA ESRERAAA পটুগীজ ১৬৭৫ খৃঃ অব্দে বঙ্গে আসিয়া লবণের ব্যবসায়ে কিছু অর্থোপায় করে এবং দুই