পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সৈদপুর सक्रिोझै (te: হুগলীর অপূৰ্ব্ব ইমামবার নিৰ্ম্মিত ও উহাতে প্রকাও ঘড়ি বসান হয় (»vsv) | o ● ইংরাজী শিক্ষার জন্য যে ভাবে মহসীন ফণ্ডের সঞ্চিত অর্থ ব্যয়িত হইতেছিল, তাঙ্কাতে বঙ্গীয় মুসলমান সম্প্রদায় হইতে ক্রমে ঘোর আপত্তি উত্থাপিত হইতে লাগিল। তাহারা বলেন, পাশ্চাত্য শিক্ষার জন্ত অর্থব্যয় উইলকারীর অভিমত হইতে পারে না ; আরবী, পারসী ভাষা এবং ইসলাম ধৰ্ম্ম শাস্ত্র শিক্ষার জন্তই এই ফণ্ডের অর্থ নিয়োঞ্জিত হওয়া উচিত। সে প্রস্তাবে ছোটলাট সার জর্জ ক্যাম্পেল সন্মত হইলে, র্তাস্থার অনুরোধমত ১৮৭৩ অন্ধে লর্ড নর্থব্রুক উহ। মঞ্জুর করেন। তদবধি মহসীন ফও নূতন প্রণালীতে গঠিত হইয়া উহা হইতে বহু মাদ্রাসার সাহায্য, মুসলমান ছাত্ৰগণের জন্ত বিশিষ্ট মহসীন বৃত্তি, ও স্কুল কলেজের মুসলমান ছাত্রের বেতনের সাহায্যকল্পে প্রতি বৎসর বহু অর্থের সদ্ব্যবহার হইতেছে। সদাশয় গবর্ণমেণ্টের সুব্যবস্থায় মহসীন ফও হইতে শিক্ষা প্রচারের সমধিক সাহায্য হওয়ার বঙ্গীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের যে প্রভূত মঙ্গল সাধিত হইয়াছে, তজন্ত প্রত্যেক শিক্ষিত মুসলমান, শুধু স্বজাতিকুলপাবন দানবীর মহসীনের নিকট নহে, গবৰ্ণমেণ্টের নিকটও চিরঞ্চণী রহিবেন। এই সম্প্রদায়ের মধ্যে আধুনিক যুগে যে সকল মনীষীর আবির্ভাব হইয়াছে এবং তাছার শিক্ষা গৌরবে হিন্দুভ্রাতৃগণের সঙ্গে যে সমকক্ষত করিতে সক্ষম হইতেছেন, তাহার প্রধান কারণ এই মৈদপুর ট্রাষ্ট'ষ্টেট ; এই জমিদারী যশোহর-খুলনার অঙ্গীভূত বলিয়া এই দুই জেলার নিকট র্তাহারা অসীম কৃতজ্ঞতা পাশে আবদ্ধ। তাই যশোহর-খুলনার ইতিহাস হিন্মুর মত বঙ্গীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের নিকটও গৌরবের ইতিহাস। আধুনিক বঙ্গীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের প্রধান প্রধান । শিক্ষিত ব্যক্তিগণ প্রায় সকলেই এককালে মহসীনের বৃত্তিভূক্ ছিলেন। কলিকাতা হাইকোর্টের ভূতপূৰ্ব্ব জঙ্গ,বর্তমান বিলাতী গ্রিভি কেন্সিলের স্বযোগ্য বিচারপতি বহুগবেষণাপূর্ণ গ্রন্থের লেখক, স্থপণ্ডিত সৈয়দ আমীর জালি, বঙ্গীয় গষ্ট কৌন্সিলের অন্ততম সমস্ত মহামতি স্তর আবদার রহিম, বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সমিতির সভাপতি, নবাব স্তর সৈয়দ সাম্বল হুদা, রেজিষ্ট্রেশন বিভাগের প্রধান কর্তা, আমন-উল ইসলাম প্রভৃতি, কত্তজনের নাম করিব, সকল