পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

άθε যশোহর-খুলনার ইতিহাস বাঘা' বলিত। সীতারামের দলে যখন মেন হাতীই ছিল, তখন বাঘ থাকিবে না কেন ? সীতারামের আরও দুইজন সেনানী ছিলেন, তাহার নীচ জাতীয় ; এই সময়ে নিম্নশ্রেণীর লোকেরাষ্ট লাঠিশড়কী প্রভৃতি অস্ত্রবিদ্যায় পারদর্শী হইত। ঐ দুই জনের নাম রূপচাদ ঢালী ও ফকিরা মাছকাটা। রূপচাদ নমঃশূদ্র জাতীয় এবং ফকিরর্চাদ মৎস্ত-বিক্রেতা নিকারী ছিলেন। তখন যশোহর খুলনায় ম্যালেরিয়া প্রবেশ করে নাই ; সকল লোকে স্বাস্থ্যবলে শক্তিশালী ছিল, প্রত্যেকে যথেষ্ট আহার করিত, যথেষ্ট শ্রম করিতে বা পথ হাটতে পারিত, তাহারা চা-কুইনাইনের অপব্যবহারে পাকস্থলীকে জালাতন করিত না। তখন দেশময় যুদ্ধবিদ্যার আলোচনা ও শিক্ষা চলিত। কেছ সে বিদ্যা শিথিয় প্রশংসা অর্জনের সুযোগ সন্ধান করিত, কেহ দেশে বিদেশে নান স্থানে গিয়া রাজাদিগের সৈন্যদলে চাকরী লইত, আর কেহ দম্য-ডাকাইতরূপে পর স্বাপহরণ করতঃ ঐশ্বৰ্য্যশালী হইয়া জীবন যাপন করিত। ডাকাইত দলের মধ্যেও অনেক সৎপ্রবৃত্তির পরিচয় পাওয়া যাইত ; কেহ বা সবলের সম্পদ লুটিয়া লইয়া দুৰ্ব্বল ও দুঃস্থকে বিলাইরা দিত, কেহ বা কৃপণের অর্থ করায়ত্ত করিয়া দানধ্যানে সদনুষ্ঠানে ব্যয়িত করিত। ধৰ্ম্ম বিশ্বাস ইহায় মূলীভূত কারণ। ভারতীয় লোক-সমাজের নিম্নস্তরও ধৰ্ম্মভাববর্জিত নহে। এদেশের দক্ষাদুৰ্বত্তের নীতিবর্জিত উন্মাৰ্গগামী হইলেও ঈশ্বরে অবিশ্বাসী বা ভক্তিবিহীন নছে। এজন্ত ডাকাইতেরও ইষ্টপূজা আছে, তাহারা vকালী পূজা না করিয়া ডাকাইতি করিতে যাইত না। রামাণ্ডাম ডাকাইত কিরূপে ভূষণায় অন্তর্গত কয়ড়ার কালীবাড়ীতে সিদ্ধিলাভ করিয়াছিল, সে গল্প সে দেশের লোকে করিয়া থাকে । বঙ্কিমচন্দ্রের ভবানী পাঠককে দস্থ্য বলিয়া ঘৃণা করিব, কি দানবীর বলিয়া ভক্তি করিব, তাহা বুঝিয়া পাই না। এমন গল্প যশোহর-খুলনায়ও অনেক আছে, তাহা প্রকাশের স্থান নাই। দেশে যখন অরাজকতা আসে বা কু-শাসন প্রবর্তিত হয়, তখন সবলের কবল ছইত্তে কুৰ্ব্বলকে রক্ষার চেষ্টা বহুজনে করিয়া থাকে। সেই সঙ্গে বদি নিজের কিছু ধনদৌলত বা প্রতিপত্তি বাড়ে, অথবা অন্ততঃ বীরত্বের থ্যাতি রটে, সকলেরই গেদিকে নজর পড়ে। স্বাৰ্থ-নিন্মুক্ত পরোপকার উচ্চস্তরের ধৰ্ম্ম ; সাধারণলোকের কাছে তাহ প্রত্যাশা করা চলে না । এই ভাবে বাহারা পাশ্চাত্য নাইটের”