পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাঁতারামের রাজধানী 盘8$ কাছারা বাটতে উক্ত বিগ্রহগুলি স্থাপনা করিয়া উহার বৃত্তির ব্যবস্থা করেন। রামসাগরের জলকর ও অন্ত কয়েকটি তালুক এই বৃত্তির মহল ভুক্ত ছিল, পরে উহ! গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক বাজেয়াপ্ত হয়। দুর্গের বাহিরে পূর্ব ও দক্ষিণ দিকে বাজার ছিল। রাম সাগরের উত্তর প্রান্ত হইতে আরম্ভ করিয়া দুৰ্গদ্বার পর্ষ্যস্ত চাদনী চকের মত নানাজাতীয় বিপণিমালায় পরিশোভিত ছিল । দক্ষিণদিকের যে এক মাইল দীর্ঘ বাহিরের পরিখার কথা বলিয়াছি, তাহার উত্তর ধারেও বাজার ছিল, এখন উহার একটা স্থানকে বাজার রাধানগর বলে। বিশেষত্ব এই ছিল যে, এই বাজারের এক এক অংশ এক এক প্রকার দ্রব্যের জন্ত নির্দিষ্ট ছিল। উহাকে এক একটি পট বলিত; যেমন কাইয় পট, কামার পট ও কাষ্ঠঘর পাড়া প্রভৃতি। এখন দোকানপাটের চিহ্ন নাই, কিন্তু লোকমুখে নামের খবর আছে। সীতারামের সৌভাগ্যরবি সমুদিত হইলে, ভুষণাসহরকে নিম্প্রভ করিয়া মহম্মদপুরে বাণিজ্য-কেন্দ্র হইয়াছিল। সেই বাণিজ্যলোভে বা রাজসরকারে চাকরির খাতিরে বহু বৈদেশিক জাতি আসিয়া জুটিয়াছিল। কাইয়া বা মাড়োয়ারির ব্যবসা করিতে আসিয়াছিল, পাঞ্জবির সৈন্ত দলে চুকিয়াছিল। এখনও কাষ্ঠথর পাড়ায় দুই একটী নিঃশ্ব হিন্দুস্থানী পরিবার কোনরূপে দিনপাত করিতেছেন ; এখনও দশভূজার পূজক তেওয়ারি ব্রাহ্মণের দুর্গমধ্যে বসতি করিতেছেন । হিন্দুস্থানীরা রাজধানী মহম্মদপুরে, কোড়কদির নিকটবৰ্ত্তী গন্ধখালিতে, এবং অন্যান্ত নানা মোকামে বসতি করিয়া এখন স্থানীয় বাসিনা হইয়া গিয়াছে। এখনও আমাদের দেশের প্রায় সকল জমিদার-গৃহে হিন্দুস্থানী ব্রাহ্মণক্ষত্রিরগণ বল ও বিশ্বাস উভয়ের ষোলআন পরিচয় দিয়া অর্থ ও যশঃ উভয়ই অর্জন করিতেছেন। সীতারামের রাজধানীতে র্তাহার ইষ্টকর্তৃহসমূহ অপেক্ষা জলাশয়গুলি অধিকতর স্থায়ী এবং শোভাময়। র্তাহাকে অতি অল্প সময়ের মধ্যে ব্যস্ততার সঙ্গে রাজধানীর গৃহ ও মন্দিরাদি নিৰ্ম্মাণ করিতে হইয়াছিল ; এজন্ত তাহার অধিকাংশে শিল্পকলার পরিচয় নাই। উৎকৃষ্ট মালমসলার পর্য্যাপ্ত সংস্থান ছিল না বলিয়া লবণাক্ত দেশের দোষে সৌধগুলি অচিরে ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছিল। সে ভগ্নপ্রায় ইষ্টকগৃহ শুধু হিংস্রের আবাস-ভূমি হইতেছে ; কিন্তু তাহার দীর্ষিকাগুলি সুদীৰ্ঘকাল ধরিয়া তাহার জলদান পুণ্যের জীবন্ত সাক্ষী রহিয়াছে ; এই “সাগরগুলির”