পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

¢¢९ যশোহর-খুলনার ইতিহাস নৌকা সজ্জিত থাকিত বাহিরের দীর্ঘগড়ের পশ্চিম প্রান্তে কানাইনগর গ্রাম ; সেখানে সীতারাম “হরেকৃষ্ণ” বিগ্রহের জন্ত অতুলনীয় পঞ্চরত্ন মন্দির নিৰ্ম্মাণ করেন ; লীতারামের মন্দিরের মধ্যে সেইটিই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট, উহার বিশেষ বিবরণ পরে দিব। কানাই নগরেও মন্দির সংলগ্ন দুইটি পুষ্করিণী আছে। ঐ স্থান হইতে একটু পশ্চিমদিকে অগ্রসর হইল, হরেকৃষ্ণপুর গ্রাম। সেখানে কৃষ্ণসাগর নামে একটি অতি মুন্দর দীঘি আছে ; এখন উহার জলাশয়ের পরিমাণ ১০০০ × ৩৫০ ফুট । জল অতি পরিষ্কৃত, ঈষৎ কৃষ্ণাভ, হয়তঃ সেই জন্তই ইহার নাম কৃষ্ণ সাগর। কেহ কেহ বলেন, ইহার জল রাম সাগর অপেক্ষাও ভাল। “সীতারাম কৃষ্ণসাগর খনন করাইয়া তাহার মৃত্তিক রাশি ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত হইবার অবসর দেন নাই ; তাহ সরোবর তীর হইতে প্রতি দিকে প্রায় এক বিঘা দুরে আনিয়া চারিদিকে প্রাচীরের হার সাজাইয়া রাখিয়া গিয়াছেন । ইহাতে ফল এই হইয়াছে যে, সমতল ক্ষেত্র প্লাবিত করিয়া ষে পঙ্কিল সঙ্গলস্রোত প্রত্যেক সরোবরকেই বর্ষাকালে আবর্জনায় পূর্ণ করিয়া ফেলে, তাহা আর কৃষ্ণসাগরের সীমাম্পর্শ করিতে পারে নাই ; তাছার জল এখনও ঝক ঝক তক্‌ তকৃ করিতেছে।” * ওয়েষ্টল্যাণ্ড বলেন, সকল পুষ্করিণী খনন কালে এই প্রণালী অবলম্বন করা কর্তব্য । । সীতারামের রাজধানীর মোটামুটি একটা আভাস দেওয়া গেল। রাজধানীর শ্ৰীবৃদ্ধি জন্ত আয় বৃদ্ধির প্রয়োজন ; রাজ্যব্যতীত আয়বৃদ্ধি হয় না। আবার রাজ্য-বিস্তার করিতে গেলেই মোগল-সংঘর্ষ অবশুম্ভাবী ; কারণ দেশীর রাজা বা জমিদার মোগলের হস্তে যতই অত্যাচারিত হউক না কেন, তাহাদের স্বার্থে হস্তক্ষেপ হইবা মাত্র তাহারা ষে মোগলের পক্ষভুক্ত হইবে, তাহাতে কোন সন্দেহ নাই। কিন্তু প্রজার মুখের দিকে চাহিলে, সে কথা মনে থাকে না। প্রজাবর্গকে রক্ষা করাই সীতারামের উদেপ্ত ছিল ; তিনি সেই উদ্বেগু মনে রাখিয়া রাজধানীতে অর্থ সঞ্চয়, অস্ত্রসংগ্রহ ও সৈন্তবৃদ্ধি করিতেছিলেন। পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি নিয়মিত বেতনের লোভ দেখাইতে পারিলে, সৈন্ত-সংগ্ৰছে কোন অসুবিধা ছিল

  • ♚पूख अभद्र कूभाब tबरछब्र यनै७ "गौडाब्रांम,” sध्यूः । t Westland's Report, p. 37. -