পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

©Ꮔ$ যশোহর-খুলনার ইতিহাস সে কথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি ; তিনি জন্মলাভে সেই বংশ উজ্জ্বল করিয়াছিলেন। শ্লোকটির সরলার্থ এই –স্বর্ঘ্যের মত যিনি বিশ্বাস-খাস-কুল কমলকে প্রফুটিত করিয়াছিলেন, সেই ভক্তিমান শ্ৰীসীতারাম রায় স্বীয় গুরুদেব কৃষ্ণবল্লভের তুষ্টির নিমিত্ত ১৬২৫ শুকে যদুপতি ( কানাই ) নগরে সমুজ্জ্বল-শিল্পরাজি-সমন্বিত জরুচিসম্পন্ন বিচিত্র wহরেকৃষ্ণ-মন্দির উৎসর্গ করেন। কানাইনগরের মন্দিরটি বাস্তবিকই সুন্দর কারুশিল্পসমন্বিত এবং সীতারামের সকল মন্দির অপেক্ষা বৃহৎ ও উচ্চ। পূৰ্ব্বদিকে উহার সদর ; সে দিকে তিনটি খিলানের পশ্চাতে বারানা এবং পাশ্বন্ধয়েও ঐরূপ খিলান ও বারানা আছে। গৰ্ভমন্দিরে কৃষ্ণ-রাধিক মূৰ্ত্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল। মন্দিরের পোত দুই হস্ত উচ্চ এবং উহার শীর্বদেশে চারি কোণে চারিটি এবং মধ্যস্থলে একটি, সৰ্ব্বসমেত পাচটি চুড়া আছে, এই জন্ত এই জাতীয় মন্দিরকে পঞ্চরত্ন মন্দির বলে। সাধারণতঃ বঙ্গদেশের সকল উৎকৃষ্ট মন্দির এই প্রণালীতে রচিত। পূৰ্ব্বদিকের মন্দিরগাত্রই সৰ্ব্বাপেক্ষা অধিক কারুকার্য্যমণ্ডিত ; সে দিকে প্রত্যেক দরজার উপর চতুষ্কোশক্ষেত্রে দুইটি সিংহ একটি মঙ্গল ঘট রক্ষা করিতেছে, উপরে সারি সারি ভাবে মধ্যস্থলে কৃষ্ণ বলরাম ও দুইপাশ্বে উপর হইতে নিম্ন পৰ্য্যন্ত সখিবৃন ও নানা দেবদেবীর ছবি অঙ্কিত ছিল । *• এমন্দিরকে সুন্দর ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী করিবার জন্ত রাজা কোন প্রকার চেষ্টা, আয়োজন বা অর্থ-ব্যয়ের ক্রট করিয়াছিলেন বলিয়া বোধ হয় না। ইহার অপূৰ্ব্ব মাধুরী তাহার ভক্ত হৃদয়েরই সুন্দর চিত্র রচনা করিয়াছিল। কানাইনগর হইতে এক মাইল দূরে গোপালপুর গ্রামে সীতারামের প্রতিষ্ঠিত বুড়া শিবের এক ভগ্ন মন্দির এখনও বর্তমান আছে। অবশু শিবলিঙ্গের পূজা সে মন্দিরে হয় না, নিকটবর্তী একখানি ক্ষুদ্র টিনের ঘরে উক্ত লিঙ্গের দৈনিক পূজাদির কার্ধ্য কোন প্রকারে সমাহিত হয়। সীতারামের রাজপ্রাসাদের • “The whole face of the building and partly also of the towers is one mass of tracery and figured ornament. * * . The figures are very wei done and the tracery is all very perfectly regular, having none of the slip-shot style which too often characterises native art in these districts” westland's Report, p. 35.