পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৬৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- মোগল-সংঘর্ষ Q&〉 কথা আমরা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি (১৯-২, পৃঃ), ইনি যে সেই সংগ্রাম নহেন, তাহ নিশ্চিত। সংগ্রাম সাহা এত দিন পর্য্যন্ত জীবিত থাকিতে পারেন না। স্বপ্রসিদ্ধ দয়ারাম রায় বর্তমান দিঘাপতিয়া রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি নাটােরের আদি পুরুষ রঘুনন্দনের রাজ্য-প্রতিষ্ঠা বিষয়ে দক্ষিণ হস্ত স্বরূপ ছিলেন। বারেঙ্গ ব্রাহ্মণ বংশীয় রঘুনন্দন বালো পুটিয়া-রাজ-সরকারে প্রতিপালিত, তথা হইতে সামান্ত চাকরী লইয়া অল্প বয়সে মুর্শিদাবাদে আসেন। (৩২ পৃঃ) সেখানে স্বকীয় অসাধারণ প্রতিভাবলে ক্রমে অত্যধিক উন্নতি লাভ করেন। উহা হইতেই "রঘুনন্দনী বাড়” কথার স্বষ্টি হইয়াছে। জমিদারী বন্দোবস্ত প্রভৃতি ব্যাপারে তিনি মুর্শিদকুলি খণর সাহায্য করিয়া তাহার অত্যন্ত প্রিয় পাত্র হন এবং বহু জমিদারের করচ্যুত সম্পত্তি নিজ ভ্রাতার নামে লিখাইয়া লন। সাহসে, বীরত্বে, বুদ্ধিমত্ত ও কাৰ্য্যদক্ষতায় দারাম তাহার প্রধান সহায় ছিলেন। নবাব যখন জমিদারদিগের নিকট হইতে ফৌজ সংগ্ৰহ করিয়া সীতারামের বিরুদ্ধে পাঠাইবার জন্য রঘুনন্দনের উপর আদেশ করিলেন, তখন নিজের অনুস্থত বশতঃ রঘুনন্দন এই কার্য্যে র্তাহার প্রধান কৰ্ম্মচারী দয়ারাম রায়কে পাঠাইয় দেন। বক্সআলি ও সংগ্রাম সিংহ পূৰ্ব্বে রওনা হইয়াছিলেন, দয়ারামের আসিতে কিছু বিলম্ব ঘটিয়াছিল। বক্সআলি খাঁ নিজ সহকারী সংগ্রাম সিংহের সঙ্গে সৰ্ব্বাগ্রে ভূষণ দখল করিবার উদ্দেশে পদ্মা দিয়া জলপথে যাত্রা করেন ; উহারা সম্ভবতঃ বর্তমান ফরিদপুর প্রভৃতি কোন স্থানে অবতরণ করিয়া স্থল পথে ভূষণার উত্তর দিকে উপনীত হন। তখন সীতারাম সসৈন্তে অগ্রসর হইয় গতিরোধ করেন ; যে যুদ্ধ হয়, তাহাতেও সীতারাম জয়লাভ করেন। দুর্গদখল করিতে না পারিয়া ফৌজদারী সেন ক্রমে ভূষণার চারদিক ঘেরিয়া অবরোধ করে এবং পার্শ্ববর্তী জমিদারগিকে লোকজন লইয়া অগ্রসর হইবার জন্ত উত্তাক্ত করিয়া তুলে। সীতারাম বিপন্ন হইয়া দেখিগেন ভূষণ ও মহম্মদপুর এই উভয় স্থান দখলে রাখা দুষ্কর। কিন্তু কোন উপায় স্থির হইল না। এদিকে দয়ারাম রায় মহম্মদপুর আক্রমণের জন্ত জমিদারী ফৌজ গইরা অগ্রসর হন। যত দূর বুঝা যায়, তিনি পদ্মা হইতে গৌরী নদীতে পড়িয়া লাঙ্গল