পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মোগল-সংঘর্ষ ፴፭® সীতারাম যখন মহম্মদপুরে আসিলেন, তখন চারিদিকে দয়ারামের ফৌজ হল করিতেছিল, ফৌজদারী সৈন্যদল ভূষণার জঙ্গলভূমি পরিত্যাগ করিয়া মহম্মদপুবের দিকে ধাবিত হইতেছিল। রামরূপের জন্ত চক্ষুঞ্জল ফেলিতে ফেলিতে, তাহার সৎকার ও সমাধির জন্য রাজোচিত হুকুম দিয়া, বীরাগ্রগণা সীতারাম দুর্গমধ্যে প্রবেশ করিলেন । রাজাগমনে পূরীর লোক আশ্বস্ত তুষ্টল। তখনও রাজধানীর উপর আক্রমণ হয় নাই। রামরূপের সহকারী সেনানীরা বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়া দুৰ্গরক্ষার জন্য যথাসম্ভব আয়োজন করিতেছিলেন ! সীতাবাম বুঝিলেন, জয়ের আর আশা নাই, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষ । শেষ পর্যন্ত বীরের মত আত্ম সম্মান রক্ষণ করিতে হইবে। কৰ্ম্মেষ্ট মানুযেব অধিকার, ফলে নহে । মোগলের কবল হইতে স্বদেশ রক্ষার জন্য র্তাহাব ক্ষুদ্রশক্তি লষ্টয় যাহা সাধ্য, তিনি তাঙ্গ কবিয়াছেন। পাশ্ববর্তী কাপুরুষ জমিদারদিগের ভরসায় ছিলেন বলিয়া তাহার সকল চেষ্টা বিফল হইতে চলিল। এখন কি তিনি সেই কাপুরুষতার সাগরে ভাসিয়া সকলের সঙ্গে এক হইয়া যাইবেন, মোগলেব পায়ে শিবঃ নোয়াষ্টয়া অসার রাজগী বজায় বাথিবেন ? না, শেষ পর্য্যন্ত যুদ্ধ করিয়া বীরপদবীর অনুসরণ করিবেন ? ইহাই এখন একমাত্র প্রশ্ন। সকল প্রশ্নের সমাধান হইলেও, বামরূপের নৃশংস হত্যার প্রশ্নের সমাধান হয় না। রামরূপের প্রাণ যে পথে গিয়াছে, তদ্ভিন্ন সীতারামের অন্ত পন্থ নাই। মদ্ধ অবগুম্ভাবী ; সে যুদ্ধে নিস্তার নাই, তাছাও নিশ্চিত । সুতরাং দুর্গমধ্যস্থ আত্মীয় স্বজন, স্ত্রীপুরুষ, বালকবালিকা যাহাদের প্রাণে ভয় উপস্থি ত হইয়াছিল, পলায়ন করিয়া যাওয়ার ইচ্ছা বা কোন হবিধ যাহাদের ছিল, তাহাদিগকে অবিলম্বে রাত্রিযোগে সাধ্যমত যান-বাহন ও রক্ষিসহ দুর্গের গুপ্তদ্বার দিয়া বাহিরে পাঠান হইল। কে কে গিয়াছিল বা কে কে ছিল, হিসাব দিবার উপায় নাই। তবে তাহার কতক স্ত্রীপুত্র ও নিকট আত্মীয়ের ষে নৌকাযোগে কলিকাতা অভিমুখে প্রস্থান করিয়াছিলেন, তাহার প্রমাণু পরে দিতেছি। রাজমহিষীদিগের মধ্যে কে শেষ পর্য্যস্ত দুর্গ পুরীতে ছিলেন, জানা যায় নাই। তবে প্রবাদ এই, একজন ছিলেন, এবং তিনি শেষ চেষ্টায় সীতারামর্কে উদ্বোধিত করিয়াছিলেন। , , মধুমতীর কূলে কামান পাতিয়া শত্রুর পথে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা চষ্টয়াছিল, কিন্তু তাঙ্গতে কুলার নাট। সীতারামের যুদ্ধায়োজনের একটা প্রধান