পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

や〉8 যশোহর-খুলনার ইতিহাস বা পৌত্রগণ যে সকল ভূমিদান করিয়াছিলেন বলিয়া এখনও সনদ দেখা যায়, উহার সকল জমিই নলদ্বীপরগণার অন্তর্গত বলিয়া উল্লিখিত আছে। মহারাজ রামকৃষ্ণ যখন ভূষণ ইজার দিতে যাইতেছিলেন, তখন যে বাকী করের দায়ে সে জমিদারী আর বেশীদিন থাকিবে না, তাহ বৃদ্ধ রাণী ভবানী বুঝিয়াছিলেন। এজন্ত তিনি সীতারামের প্রতিষ্ঠিত বিগ্রহগুলির সেবা নিৰ্ব্বাহের জন্ত কতকগুলি মৌজা পৃথকৃ করিয়া একটি দেবোত্তর মহলের স্বষ্টি করেন এবং উছাই পৃথক করিয়া দেবসেবার জন্য উৎসর্গ করেন। ১৭৯৯ অন্ধে ভূষণ খণ্ডে খণ্ডে নীলাম হইয় গেলেও এই দেবোত্তর সম্পত্তি নীলাম হয় নাই। মহারাজ রামকৃষ্ণের মৃত্যুর পর লাখিরাজ ও দেবোত্তর মহল সমস্তই তাহার দ্বিতীয় পুত্ৰ শিবনাথের হস্তে যায়। বিশ্বনাথের উত্তরাধিকারিগণই নাটোরের বড়তরফ এবং শিবনাথের ধারাই ছোটতরফ বলিয়া খ্যাত হন। বিশ্বনাথ বা শিবনাথ উভয়েই নিঃসন্তান। বিশ্বনাথের মৃত্যুর পর তাহার এক পত্নী রাণী কৃষ্ণমণি যে দত্তক গ্রহণ করেন (১৮১ ) তিনিই গোবিন্দচন্দ্র নামে রাজ্যের কর্তৃত্ব পান এবং তাছাৰ মৃত্যুর পর (১৮৩৬) তৎপত্নী রাণী শিবেশ্বরী রাজা গোবিন্দনাথকে দত্তক গ্রহণ করেন। রাণী ভবানীর মত রাণী কৃষ্ণমণি ও শিবেশ্বরী উভয়েই অত্যন্ত বুদ্ধিমতী এবং বিষয়ুকার্য্য পৰ্য্যালোচনায় মুদক্ষ ছিলেন। নাটোর রাজবংশেরই একটি বিশেষত্ব এই যে পুরুষ অপেক্ষ স্ত্রীগণই অধিকতর প্রতিতাশালিনী। শিবনাথের দত্তক পুত্ৰগণের মধ্যে রাজা আনন্দনাথ বৃটিশ গবর্ণমেণ্ট কর্তৃক স্বীকৃত হন এবং পরে “রাজাবাহান্থর” ও সি, এস, আই উপাধি লাভ কৰেন। মহম্মদপুরের দেবোত্তর মহল ছোট তরফের সম্পত্তি ছিল, কিন্তু কিছুকাল পরে মোকদ্দামার বিধানমত উহ। রাণী শিবেশ্বরীর অংশভুক্ত হইয়া যায়। তদবধি র্তাহার দত্তক পুত্র রাজা গোবিন্দনাথ ও পরে গোবিন্দনাথের দত্তকপুত্র মহারাজ জগদিন্দ্রনাথ ថ្មី সম্পত্তির মালিক হন । * সীতারামের কীৰ্ত্তিলোপ—প্ৰাতঃস্মরণীয়া রাণী ভবানী মহম্মদপুরের দেবোত্তর মহলের সৃষ্টি করিয়া দেব-বিগ্রহগুলির সেবার সুন্দর ব্যবস্থা করেন। পূর্বেই বলিয়ছি, তাহার সময়ে দুর্গারের সন্নিকটে স্বরম্য চকমিলান বাড়ী গঠিত হয় এবং উহার মধ্যে তারাদেবীর ইচ্ছামুক্রমে vরামচন্দ্র বিগ্রহের প্রতিষ্ঠা হয় ; ঐ সময়ে কানাই নগরেও পৃথক্ মন্দিরে বলরামমূৰ্ত্তি স্থাপিত হইয়াছিল। রাণী