পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৭৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যশোহর-খুলনার ইতিহাস هي ماW মুন্সী বলরাম দাস—যখন বল্লাল সেনের সহিত বিবাদ করিয়া বারেস্ত্র কায়স্থ তিলক কর্কট ও জটাধর নাগ যশোহরের অন্তর্গত শৈলকূপা অঞ্চলে রাজ্যপ্রতিষ্ঠা করেন, তখন বারেন্দ্র কুলীনত্রর দাস, নন্দী ও চাকী উহাদের আশ্রয়ে আসিয়া বাস করেন। ইহাদের মধ্যে দাস কুলীনগণের বীজপুরুষ ছিলেন, অত্ৰিগোত্রীয় নরদাস; কেহ কেহ তাহাকে নরহরি বা নরদেব দাস বলিয়াছেন। তাহার বংশধরেরা যুদ্ধ বিগ্রহের ফলে এবং ভাগ্যের বিবর্তনে নানাস্থান ঘুরিয়া অবশেষে শৈলকুপার একাংশে দেবতলায় বাস করেন। নবাব সরকার হইতে কালক্রমে তাহাদের মজুমদার উপাধি হয়। বহুপূৰ্ব্ব হইরে শৈলকূপায় জনৈক সন্নাসীর প্রতিষ্ঠিত ৮রামগোপাল বিগ্রহের সেবা চলিতেছিল ; এক সময়ে উহার সেবার ভার এই দাসবংশায় ভবানন্দ বা কৃষ্ণানন্দের উপর গুস্ত হয়। তখন তিনি দেবতলায় নিজভবনের পাশ্বে উক্ত বিগ্রহের জন্য যে সেবাবাড়ী নিৰ্ম্মাণ করেন, তাঙ্গার চিহ্ন এখনও আছে। নদীতীরবর্তী দেবতলায় যখন মগফিরিঙ্গিদিগের অত্যাচার আরম্ভ হয়, তখন কৃষ্ণানন্দের পৌত্র রাজীব লোচন সপরিবারে হনু নদীর তীরবর্তী দ্বারিয়াপুর গ্রামে ও পরে কাদিরপাড়ায় সম্পত্তি পাইয়া তথায় আসিয়া স্থায়িভাবে বাস করেন। রাজীবলোচনের তিনপুত্র ঃ হরিরাম, রামরাম ও দুর্গারাম। তিন ভ্রাতাই বিপুলদেহশালী ও অত্যন্ত বলবান ছিলেন এবং সেইজন্তই তাহার রাজা সীতারামের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। কথিত আছে, রামরাম ও দুর্গারাম অসীম সাহসের সহিত ডাকাইতদিগের আক্রমণ নিবারণ করায় সীতারাম সন্তুষ্ট হইয়। বিলপাকুড়িয় নামক একখানি গ্রাম দুইভ্রাতাকে দুগ্ধ খাইবার জন্ত নিষ্কর দান করেন । * এই গ্রাম খানি পরগণে বেলগাছির অন্তভূক্ত এবং ফরিদপুরের বালিয়াকান্দি পুলিস ষ্টেশনের অধীন ; ঐ গ্রাম এখনও রামরামের নামীয় খারিজ তালুক বলিয়৷ ফরিদপুরের কালেক্টরীর তেজিভূক্ত ও উহা মুন্সীদিগের দখলে আছে। দুর্গারাম যখন সীতারামের দপ্তরে মুলী নিযুক্ত হন, তখন সীতারাম বা তাহার গোস্বামী গুরু মহাশয় আদর করিয়া উহাকে বলরাম বলিয়া ডাকিতেন। তদবধি দুর্গারাম দাস মজুমদার মুলী বলরাম দাস বলিয়া খ্যাত। বলরামের হস্তলিপি যেমন মুন্দর, চরিত্র ` * १छ्रुवांबूझ गौडॉङ्गीम्, ७• शृः