পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

হেস্কেলের আগমন 4 من বা কাছারী খুলিলেন এবং যশোহর, ফরিদপুর ও খুলনার অধিকাংশ স্থান উহার শাসনাধীন হইল। গভর্ণর জেনারেল তখন টিলম্যান হেস্কেল ( Mr. Tilman Henkel ) নামক মুযোগ্য সদাশয় ব্যক্তিকে মুড়ীতে জজ ও ম্যাজিষ্ট্রেট নিযুক্ত করিয়া পাঠাইলেন। র্তাহার সহকারী ( Registr.r ) হইয়া আসিলেন রিচার্ড রোক ( Mr. Richard Rocke ) । উভয়ের জন্ত উচ্চ বেতন বা বাসস্থানের ব্যবস্থা হইল। মুড়লীতে একটি পুরাতন কুঠি ছিল, তাহাই মেরামত করিয়া হেঙ্কেল সাহেব নিজের মনোমত করিয়া লইলেন। নিয়ম হইল, জজ সাহেবই পুৰ্ব্বতন ফৌজদার ও থানাদারের কার্য্য করবেন। পূৰ্ব্বে পুলিস বিভাগের কার্য থানাদারেরা করিতেন, এখন এই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত হইয়া জজের অন্তনাম হইল ম্যাজিষ্ট্রেট। অপরাধীর বিরুদ্ধে মোকদম পরিচালনের জন্ত মুড়লী ও ভূষণায় দুইজন দারোগ ছিলেন। কিন্তু দারোগার। মুখ্যতঃ তখনও মুর্শিদাবাদের নাজিম বা নবাবের অধীন ছিলেন, কারণ ফৌজদারীর শাসন ভার তখনও কোম্পানীর হস্তে যায় নাই। জেল বা কারাগার এবং মোকদ্দমার কাগজ পত্র সবই দারোগার হাতে থাকিত। নায়েব নাজিমের হুকুম তাহারা ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেবের হস্ত দিয়াই পাইতেন, তবুও তাহারা অনেক সময়ে ম্যাজিষ্ট্রেটের হুকুম মানিতেন না ; দ্বৈধ-শাসনের ইহাই ফল। হেঙ্কেলের আদিবার পূৰ্ব্বে ৪টা প্রধান থান ছিল ; ভূষণ ও মীর্জানগরের কথা পূৰ্ব্বে বলিয়াছি; ইহা ব্যতীত খুলনার অপর পারে নয়াবাদ এবং কেশবপুবের কাছে ধরমপুরে দুইটি থানা বসিরাছিল। দেশে তখন চুরী ডাকাতি খুব চলিতেছিল, থানার লোকেরা অনেক সময়ে দুৰ্ব্বত্তদিগের সঙ্গে যোগ দিয়৷ বক্ষকেরাই ভক্ষক হইত। হেঙ্কেল সাহেব প্রত্যেক থানায় প্রধান দারোগার অধীন দেশী বরকন্দাজ না রাখিয়া, বিদেশী সিপাহী রাখার প্রস্তাব করিলেন। সে প্রস্তাব মঞ্জুর হইল ; মুড়লীতে ৫০ জন, ভূষণ ও মীর্জানগরে ৩০ জন করিয়া এবং ধরমপুরে ৪জন সিপাহী গেল। নয়াবাদে পৃথক সিপাহী থাকিল না ; খুলনায় ( বর্তমান কয়লাঘাট) যে নিমক-চৌকি ছিল, তথাকার লোকদ্বারাই থানার কার্ব্য চালাইয় লওর হুইত । এইভাবে পুলিস রক্ষা করিতে যথেষ্ট খরচ পড়িতে লাগিল। তাৎকালিক গভর্ণমেণ্টের ব্যবসায়ী বুদ্ধিতে উহা অতিরিক্ত বলিয়া বোধ হইল। পর বৎসর