পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वै९० যশোহর-খুলনার ইতিহাস রামনরোয়ণের পুত্ৰগণের তিনজনই কৃতী পুরুষ। তন্মধ্যে জ্যেষ্ঠ রামরতন ব: স্বনাম ধন্ত স্বতন বাৰু সমধিক বিখ্যাত। তাহার সময়ে নলডাঙ্গার রাজাদিগের অধিকৃত মামুদ্ৰশাহী পরগণার ৮১• অংশ ক্রমে ক্রমে অর্জিত হয় (৪৭২ খৃঃ) এখন নড়াইলের বাবুদিগের উহাই সৰ্ব্বপ্রধান সম্পত্তি। অপর সম্পত্তির মধ্যে পরগণ তেলিহাটি, বেলগাছি ও বীরমোহন (ফরিদপুর ), পরগণে ইশপপুর ও রস্থলপুর (যশোহর-খুলনা ), পরগণে ধতিয়া (খুলনা) এবং নলীর অধীন তরফ দারিয়াপুর প্রভৃতি প্রধান। রতন বাবুর আমলে নীলকর সাহেবেরা দেশময় সৰ্ব্বত্র নীলের কুঠি স্থাপন করিয়াছিলেন। উহাদের আদর্শে দেশীয় ধনী ও জমিদারগণ নীলের ব্যবসায়ে অর্থলাভ করিতে সচেষ্ট হন। তন্মধ্যে রতন বাবু একজন। তিনিও বহু কুঠির মালিক হইয়াছিলেন। কয়েকটি নাম করিতেছি ঃ-ঘোড়াখালি, মহিষাকুণ্ড, চাউলিয়, তালদিয়, য’তেরকাটি, ধোপাদি, গোপালপুর, শৈলকুপ, ঐখওঁী, কুমারগঞ্জ, আউড়িয়া, আফর, তুঙ্গার ডাঙ্গা, শ্রীরামপুর প্রভৃতি স্থানে নড়াইলের বাবুদিগের কুঠি ছিল। উহার অনেকগুলি সছেৰদিগের নিকট হইতে খরিদ করা হয়। যে বৎসর নীল-বিদ্রোহ উপস্থিত হয়, সেই বৎসরই রতন বাবুর মৃত্যু ঘটে। রতন বাৰু ধৰ্ম্মপ্রাণ হিন্দু ছিলেন, তিনি নড়াইলের বাটতে মহাসমারোহে দুর্গোৎসবাদি পৰ্ব্বাঙ্গুষ্ঠান আরম্ভ করেন এবং পিতৃমাতৃ শ্রান্ধে অপরিমিত অর্থব্যয় করিয়াছিলেন। রতন বাবুর মাতৃশ্ৰাদ্ধের মত দানসাগর শ্রাদ্ধ এদেশে আর হইয়াছে কিনা সন্দেহ । তাহার মৃত্যুর পর, মধ্যমত্ৰাতা বাবু হরনাথ রায় জমিদারীর কর্ত হন। তিনি নড়াইল হইতে যশোহর পর্য্যস্ত একটি উৎকৃষ্ট রান্ত নিৰ্ম্মাণের জন্ত যথেষ্ট অর্থব্যয় করেন। এইরূপ আরও কতকগুলি জনহিতকর কার্ধ্যের জন্ত গবৰ্ণমেণ্ট তাহাকে “রায় বাহাদুর" উপাধি দেন। রাধাচরণ বাবুর সময়ে হাটবাড়িয়ার সহিত বিবাদ মিটয়া যায়। রক্তনবাবুদের তিনভ্রাতার প্রত্যেকের কুইটি করিয়া পুত্র ছিল,— রক্তনবাবুর পুঙ্খ চজকুমার ও কালীপ্রসন্ন, হরনাথের পুত্র উমেশচন্ত্র ও কালিদাস, এবং কনিষ্ঠ রাধাচরণের পুত্র যোগেন্দ্ৰনাণ ও পুলিন। এই ছয়জন তুল্যাংশে পৈতৃক সম্পত্তির অধিকারী, প্রত্যেকের y৮ পাই অংশ ; তন্মধ্যে কালিদাসের পুত্ৰগণের সম্পত্তি পৃথকভাৰে শাসিত হয়, উছাকে সাধারণতঃ জাড়াই জানী