পাতা:যশোহর-খুল্‌নার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৮৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नैौणब्र काषe बोल-विट्झांझ् ళ్బీ এবং তিনমাস পরে উহা শুকাইলে জালঘরের জালানি বা ক্ষেত্রের সান্ন হইত। নীলজলপূর্ণ নির হোঁজের প্রত্যেকটিতে ১·জন কুলি ই সারিতে চাই৷ পাচফুট দীর্ঘ এক একখানি বঁাশের বৈঠা দিয়া দুই ঘণ্টাকাল চীৎকার বা গান করিতে করিতে নীলজলে অবিরত সরিয়া সরিয়া পিটাপিটি কল্পিত। স্বদের উপাদান জল হইতে পৃথক্ করিবার জষ্ঠ এই প্রণালী অবলম্বিত হইত। রঙ্গ-মিত্রী পরীক্ষা করিয়া বলিলে পিটাপিটি বন্ধ হইত, তখন ছুইঘণ্টাকাৰ নীল জল ৰিঙাইতে দেওয়া হইত। পরে ঐ সকল হোঁজের নিমসারির নলগুলি খুলিয়া দিলে ঈষৎ রঙ্গিন জল একটি পয়ঃপ্রণালী দিয়া নদীতে গিয়া পড়িত এবং হেীজের নিম্নভাগে ৪ অঙ্গুলি প্রমাণ গাঢ় নীলরঙ, সঞ্চিত থাকিত। উহা একটা নলদিয়া পার্শ্ববর্তী জাল-ঘরে গিয়া দুইঘণ্টা কাল উত্তপ্ত হইত। পরে নলের মুখে বস্ত্রদ্বারা ছাকিয়া একটি প্রশস্ত পাটাতনের উপর সমস্তদিন ধরিয়া বস্ত্রাবৃত অবস্থায় চাপ-যন্ত্রের নিয়ে দিয়া চাপিয় লওয়া হইত ; পরে একটি খোপ-ওয়ালা বাস্কের মধ্যে চাপিয়া খণ্ড থও চেক প্রস্তুত হইত, সেই চেীকগুলিকে লাও এড়োভাবে কাটির ক্ষুদ্রখণ্ডে পরিণত করা হয়। উহারই উপর কুঠির নামের ছাপ দিয়া লইলেই ৰিদেশে রপ্তানি করার মত নীল প্রস্তুত হইল । * বৎসরের মধ্যে দুইবার নীলের চাষ হইত। ১ম, হৈমস্তিক চাষ ; বর্ষান্তে বস্তার জল সরিয়া গেলে পলিযুক্ত নদীর চরে ৰিনাচাধে, অথবা ডাঙ্গ জমি ও ভিক্টাবাড়ীতে চাষ করিয়া, নীলের বীজ বুনিয়া দেওয়া হইত ; পরবর্তী জ্যৈষ্ঠমাসে অর্থাৎ বস্তার চরভূমি ডুবিয়া যাইবার পূৰ্ব্বে নীলগাছ কাটা লওয়া হইত। ২য়, বাসী চাষ; অর্থাৎ ফাল্গুন চৈত্র মাসে বর্ষ হইয়া জমিতে "যো" হইলে, যে সময় আউল ধানের চাষ হয়, সেই সময় জমি উত্তমরূপে চাষ করিয়া মইদিনা নীলের বীজ বপন কয়া হইত ; এবং গাছ ৪/৫ ফুট লম্বা হইলে, আষাঢ় শ্রাবণ মাসে গাছ কাটিয়া লইত । যশোহর জেলায় উচ্চ জমিই বেশী, চরভাগ অধিক নহে বলিয়া দ্বিতীয় প্রকারেই অধিক নীল উৎপন্ন হইত। কিন্তু কৃষকের জাউল ধান ফেলি। এই চাষ সহজে করিতে চাহিত না বলির কুঠির লোকদিগকে এজন্ত যথেষ্ট আয়াস স্বীকার করিতে হইত। f • summarised from “Rural Life in Bengal,” 1860. Letter no with pp ıı4-136 f Hunter's Jessore, p. 252.