বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোগত জ্ব-বারিধি 1 1):Rసా দেহে ঘৰ্ম্ম, লালা ও কৃমি জন্মিতে পারে না । অধিকন্তু শরীরস্থ কফ, পিত্ত ও বায়ু কোন প্রকারেই দূষিত হয় না । এই সময়ে যোগীর অণহারের কোন বাধা-ধরা নিয়ম পালন করিতে হয় না । যেহেতু, এতদবস্থায় তিনি যে প্রকার আহার করুন বা অতিভোজনই করুন, কোন প্রকারেই ব্যথিত হইবেন না । অতঃপর অভ্যাসে অভ্যাসে সাধক ভূচরীসিদ্ধি প্রাপ্ত হইয়া থাকেন । এই ভূচরীসিদ্ধির মাহাত্ম্য এতাধিক যে, সাধক হস্তদ্বারা প্রহার করিলে সিংহ-ব্যাঘ্ৰাদি দুৰ্দ্দস্তি পশুগণও কাল গ্রাসে পতিত হইবে । শিষ্য । ত্বাপনি পূৰ্ব্বে যে প্রাণায়ামসিদ্ধির বিস্তু ও তন্নিবারণের উপায় বলিয়া দিয়াছেন, তদ্ভিন্ন আরও কি কোন প্রকার বিঘ্ন ঘটিবার সম্ভব আছে ? গুরু । হা, আছে । শিষ্য । সে বিস্ত্র কি প্রকার ও তাহা নিবারণের উপায় কি, তাহা বলুন । গুরু । শাস্ত্র বলেন,— সন্ত্যত্র বহবো বিস্ত্রা দারুণ দুর্নিবারণা: | তথাপি সাধয়েদ্যোগী প্রণণৈ: কণ্ঠগতৈরপি । ততো রহস্থ্যপীবিষ্ট: সাধক: সংযতেন্দ্ৰিয়: । • প্রণবং প্রজপেদীর্ঘং বিঘ্নানাং নাশহেতবে ॥ প্রাণায়াম-সাধনকালে দুর্নিধাৰ্য্য .বিঘ্ন আসিয়া উপস্থিত হইতে পারে । কিন্তু তাই বলিয়া যাবৎ কণ্ঠগত প্রাণ থাকিবে, তাবৎ সাধকের ইহা পরিত্যাগ করা কৰ্ত্তব্য নহে । যখন কোন বিস্ত্ৰ উপস্থিত হইবে, তখন সাধক সাবধানতার সহিত ইন্দ্রিয় সংযম করিয়া বিজনে > ማሉ