বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* >8 যোগতত্ত্ব-বারিধি । iwan.. এতি—“ইছারা অামার, এবং আমি ইহাদের” এইরূপ ভ্রাস্তি-বশতঃ শ্নেহপ্রণবল্যে ও বিচ্ছেদভয়ে আকুল হইয়া হৃদয়ের অপরিসীম শোকমোহসূচক কাতরতা প্রকাশ করিয়াছিলেন । ইহাতে অহঙ্কণর কি, তাহাই দেখান হইয়াছে । ফলতঃ “আমি—আমার” ইত্যাদি ৰে ভ্ৰাস্তিজ্ঞান তাহাই অহঙ্কার নামে অভিহিত হয় । শিষ্য । অবিদ্যা হইতে অহঙ্কারের উৎপত্তি কহিয়াছেন,— অবিদ্যাত মায়া ? গুরু । ই,—মায়া ও অবিদ্যা এক বটে, কিন্তু কিঞ্চিৎ প্রভেদ আছে । চিদানন্দময়-ব্রহ্ম-প্রতিবিস্ব-সমম্বিতা । তমোরজঃসত্ত্বগুণা প্রকৃতিৰ্বিবিধ চ সৰ্ণ । সত্ত্বশুদ্ধ্যবিশুদ্ধিভ্যাং মায়া-বিদ্যে চ তে মতে ॥ —পঞ্চদশী । চিদানন্দময় ব্রহ্মের প্রতিবিম্ব সংযুক্ত সত্ত্ব, রজঃ ও তমঃ এই তিন গুণের সাম্যাবস্থারূপ প্রকৃতি সত্ত্বগুণের শুদ্ধির তারতম্যে “মায়া” এবং “অবিদ্যা” এই দুই প্রকার অবস্থা প্রাপ্ত হয় । সত্ত্বগুণ যখন তমঃ ও রজঃ এই দুই গুণদ্ধারা কলুষিত হয়, তখন তাহাকে সত্ত্বগুণের শুদ্ধি বা শুদ্ধসত্ত্বপ্রধান বলে ; এবং যখন সত্ত্বগুণ তমঃ ও রজঃ এই দুই গুণদ্বারা কলুষিত হয়, তখন তাহাকে সত্ত্বগুণের অবিশুদ্ধি বা মলিনসত্ত্বপ্রধান ৰলে । ইহাতেই বুঝা যাইতেছে,—ব্যষ্টিভূত মলিন-সত্ত্বপ্রধান অজ্ঞানই অবিদ্যা এবং সমষ্টিভূত শুদ্ধসত্ত্বপ্রধান অজ্ঞানই মায়া । অবিদ্যা বা মায়াপদার্থ দুই-ই এক—কেবল মাত্র প্রভেদ ব্যষ্টি ও সমষ্টি । যেমন ব্যষ্টিভূত বৃক্ষসমূহের সমষ্টিকে বন বলিয়া নির্দেশ করা যায়, সেইরূপ ব্যষ্টিভূজ অবিদ্যা বা অজ্ঞানের সমষ্টিকে মায়া বলিয়া নির্দেশ