পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Rఆe যোগতত্ত্ব-বারিধি । ജ്--ബ് -ബ=ബ অর্থ তাহা নহে ৷ হইতে পারে, আমাদের স্বার্থপূর্ণ কাৰ্য্যাদি হইতে ভবিষ্যতে অপমাদের মঙ্গল হয়, কিন্তু উহা ভগবানের ভবিষ্যৎ-অভিপ্রায় মাত্র । প্রকৃত ভক্ত নিজের জন্ত ক খন কোন ইচ্ছা বা কার্য্য করেন না । “প্ৰভু ! লোকে তোমার নামে বড় বড় মন্দির নিৰ্ম্মাণ করে, তোমার নামে কত দান করে, আমি দরিদ্র, অামি অকিঞ্চন, আমার দেহ তোমার পাদপদ্মে অৰ্পণ করিলাম । প্রভু, আমাক্স ত্যাগ করিও না ।” ইহাই ভক্তহৃদয়ের গভীর প্রদেশ হইতে উত্থিত প্রার্থনা যিনি একবার এই অবস্থার অণস্বাদ করিয়াছেন, তাহার নিকট এই প্রিয়তম প্রভুর চরণে আত্মসমপণ জগতের সমুদয় ধন, প্রভুত্ব, এমন কি, মাল্পষ যতদূর মান-যশ ও ভোগ-সুখের আশা করিতে পারে, তাহণ অপেক্ষণও শ্রেষ্ঠ বলিয়া প্রতীত হয় । ভগবানে নির্ভরজনিত এই শান্তি আমাদের বুদ্ধির অতীত ও অমূল্য । এই অপ্রাতিকুল্য অবস্থা লাভ হইলে তাহার কোনরূপ স্বার্থ থাকে না, আর স্বণৰ্থ ই যখন নাই, তখন অণর র্তণহণর স্বশর্থহানিকর বস্তু জগতে কি থাকিতে পারে ? এই পরম নির্ভরাবস্থায় সৰ্ব্বপ্রকার আসক্তি সম্পূর্ণরূপে দূর হয়,—কেবল সেই সৰ্ব্বভূতের অন্তরাত্মা ও আধার স্বরূপ ভগবানের প্রতি সৰ্ব্বাবগণহী প্রেমাত্মিক আসক্তি রহিয়া যায় । ভগবানের প্রতি এই প্রেমের আকর্ষণ জীবাত্মার বন্ধনের কারণ নহে,—সৰ্ব্ববন্ধন মোচনের পস্থা ।” এই অবস্থা লইয়া যে কৰ্ম্ম করা, তাহাই লয়যোগীর অধ:শক্তির সংযোগে মধ্যশক্তির সাধন ।