বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:যোগতত্ত্ব-বারিধি - সুরেন্দ্রমোহন ভট্টাচার্য্য.pdf/২৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যোগতত্ত্ব-বারিধি । 文° গণ জানিয়াছেন, এই জন্ত যে, তাহদের মনের উপর ইচ্ছাশক্তি পরিচালনের ক্ষমতা আছে,—অপরের নাই বলিয়া তাহারা জানিতে পারে না । উহাদের মধ্যে তিনপ্রকার কোন গহবরে নিহিত ছিল । ( গহবর শব্দের ভাবার্থ, যেখানে শব্দসংক্রান্ত গোপনীয় ভাষ্য শিক্ষণ হয় । ) মানবগণ সেই তিন প্রকার শব্দের বিষয় সম্পূর্ণ অজ্ঞাত । যে বাক্য কেবল উচ্চারিত হয়, তাঙ্গ চতুর্থ। বাক্যের চারি অংশ কথার চারিটি শ্রেণী । যথা—বিশেষ্য, ক্রিয়া, উপসর্গ ও বিভক্তি ৷ মুখ দিয়া যাহা নির্গত হয়, তদ্ব্যতীত আর যে তিন প্রকার আছে, সে গুলির চর্চা বা আন্দোলনের উপায় নাই । শব্দের শেষ বিভাগই আন্দোলন হয়,—অপর তিনটি বিভাগ যে কি, তাহ সাধারণে অবগত নহে । শব্দ উচ্চারিত হইবার পূৰ্ব্বে ঐ তিন অবস্থা হয়, কিন্তু সাধারণের বোধগম্য নহে । পতঞ্জলি বলেন,--যাহারা এই ব্যাকরণ রীতিমত শিক্ষণ করেন, তাহারাই বেদপাঠে অধিকারী হয়েন, অর্থাৎ বেদকে দূষিত না করিয়া উচ্চারণ করিতে ও অর্থবোধ করিতে সক্ষম হয়েন । এখানে ব্যাকরণ শব্দের অর্থ—বৈখারিবাক, অর্থাৎ শব্দের যে বিভাগ মানবের বোধগম্য। অপর তিনটি বিভাগ সম্পূর্ণ অনধিগম্য । শ্রুতিপরম্পরায় অবগত হওয়া যায় ষে, স্বৰ্য্যদেব হনুমানকে নয় প্রকার ব্যাকরণ শিক্ষা দিয়াছিলেন, এবং ঐ নয়টির শেষটি পরিত্যাগ করিয়া ( কারণ শেষোক্তটি মানবের বোধগম্য নহে ) এখন আটপ্রকার ব্যাকরণ আছে,--যদ্বারা গুহ বাক্যের বিষয় অবগত হইতে পারা বায় । বাক্যের শেষ অবস্থাই জ্ঞানের বিষয়, অর্থাৎ পতঞ্জলির মতে মনের উপর আধিপত্য স্থাপনের ইহাই সোপান । উৎপত্তিস্থান-ভেদে বাক্য বৈধারি, মধ্যম ও পশুস্তি এই তিন নামে