বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:যোগ-সাধন.djvu/১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( e ) উঃ । আমি এরূপ মনে করিনা যে কেহ আপন সাধন বলে সেই সৰ্ব্বশক্তিমান অনন্ত পুরুষকে লাভ করিতে পারে। ੇ মানবের প্রকৃতিই মানবের ধৰ্ম্ম । এজন্ত যখন তিনি_প্রাণে এই মহা অভাৰ অনুভব করেন তখন ব্যাকুল ভাবে_ৰ্তাহার নিকট প্রার্থনা না করিয়া থাকিতে পারেন না। এই রূপে অবিশ্রান্ত প্রার্থনা দ্বারা ধৰ্ম্ম লাভের প্রতিকুল অবস্থাগুলি তাহার প্রাণ হইতে অস্তুরিত হইলে শুভ মূহুর্তে করুণাময় পরমেশ্বর তাহার অাশা চরিতার্থ করেন। সুতরাং দেখা গেল দে সাধন কেবল ঈশ্বরের জন্ত প্রস্তুত হইয়া থাকা মাত্র ; সেন তাহার অবিভাব হইলে চিনিয়া লইতে পারি ; নতুবা কোন প্রকার ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম, জ্ঞানালোচনা বা প্রার্থনা কিছুরই দ্বারা তাহাকে পাওয়া যায়না। কারণ তিনি স্বপ্রকাশ, স্বয়ং প্রকাশ না হইলে কোন উপায়ে তাহকে প্রকাশ করিতে পারেন। ৫ম প্রঃ । প্রকৃত প্রার্থনা কাহাকে বলে ? উঃ । প্রার্থনা বচন বিন্যাশ নহে, মনের ভাবও নহে, কোনরূপ প্রক্রিয়া নহে, প্রার্থনা অস্থির একটি স্বভাব। যদি মাল্লত্ব নিজের আত্মার একটি বা অনেক প্রবল অভাব অম্লভপ করে, পরে সেই অভাব মোচনের জন্ত তাহার প্রাণে নিতান্ত ব্যাকুলতা জন্মে, তখন পুনঃ পুন: চেষ্টা করিয়াও সে যদি দেখে ঐ অভাব দূর করিবার তাহার নিজের তিল মাত্র ক্ষমতা নাই, অপর কোন সৰ্ব্বশক্তিমান ও করুণাময় পুরুষের সেই শক্তি আছে, তখন তাহার আত্মার যে অবস্থা হয় সেই অবস্থাটির নাম প্রার্থনার অবস্থা। সে তখন কথা বলুক অথবা রোদন করুক, অস্থির হইয়া ধূলিতে লুষ্ঠিত হউক বা