পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>○br বুঝতেই পারে না, নরকবাসীর সব চেয়ে বড়ো সাজা তাই। চন্দ্রা আচ্ছা বেশ, আমরাই যেন মুরথু, কিন্তু এখানকার সর্দার পর্যন্ত ওকে দু চক্ষে দেখতে পারে না, তা জান ? বিশু দেখো দেখো চন্দ্রা, সর্দারের দু চক্ষুর ছোয়াচ যেন তোমাকে না লাগে ; তা হলে আমাদের দেখেও তোমার চক্ষু লাল হয়ে উঠবে। —আচ্ছা, তুই কী বলিস ফাগুলাল ? ফাগুলাল সত্যি কথা বলি, দাদা, নন্দিনীকে যখন দেখি নিজের দিকে তাকিয়ে লজ্জা করে । ওর সামনে কথা কইতে পারি নে । গোকুল বিশুভাই, ঐ মেয়েকে দেখে তোমার মন ভুলেছে। সেইজন্যে দেখতে পাচ্ছ না, ও কী অলক্ষণ নিয়ে এসেছে। বুঝতে বেশি দেরি পঙক্তি ৩৯১-৪০০ (? বুঝতে পারে না, এই হল তাদের সাজা ! চন্দ্রা আচ্ছা আমরাই যেন মুখু কিন্তু এখানকার সর্দার পর্য্যন্ত ওকে দুচক্ষে দেখতে পারে না, তা জান ! বিশু এ মুলুকে বিধাতা আমাদের অনেক দুঃখ দিয়েচেন, শেষকালে সর্দারের দুই চক্ষুর ছোয়াচ যেন আমাদের না লাগে । তুই কি বলিস ফাগুলাল ! ফাগু সত্যি কথা বলি, দাদা, ওকে যখন দেখি তখন নিজের দিকে তাকিয়ে লজা করে । গোকুল দেখ বিশু, তোমার খাতিরেই ওকে সহ্য করি । একদিন কিন্তু— (প্রস্থান) ریا\ নিম্নলিখিত পরিবর্তনগুলিসহ পূর্ববর্তী পাঠের অনুরূপ : (i) এই হল তাদের সাজা ! > সেই ত নরকবাসীর সাজা ! (ii) এ মুলুকে বিধাতা ... বলিস ফাগুলাল । > দেখো, দেখো চন্দ্রা। সর্দারের দু চক্ষুর ছোয়াচ যেন তোমাকে না লাগে তাহলে একদিন আমাকে দেখেও তোমার চক্ষু লাল হয়ে উঠবে। আচ্ছা তুই কি বলিস ফাগুলাল । t)چO\ 8 OO