পাতা:রক্তকরবী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

© Ꮼ☾ দূরে গান পৌষ-তোদের_ডাক দিয়েছে, আয়রে_চলে §, SIBI, SIBI | ধলার_আঁচল ভরেচে_আজ_প্রাকLফসলে भहि.-३-३-३शL! പ || പ প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য— এই দশম খসড়ার পরে যে খসড়া ‘প্রবাসী’-তে প্রেরিত হয়, তা ছিল একাদশ খসড়া যার ওপর ভিত্তি করে ‘রক্তকরবী'র মুদ্রিত পাঠ দাঁড়িয়ে আছে। অনুমান করা যায় একাদশ খসড়াটি দশম খসড়ারই প্রায় অনুরূপ, যদিও সেখানে কিছু কিছু পাঠের পরিবর্তন করা হয়েছিল, বিশেষত নাটকের শুরুতে কিশোর-নন্দিনীর সংলাপে। কিন্তু সেই একাদশ খসড়াটির কোনো সন্ধান পাওয়া যায় না | এইভাবেই ‘রক্তকরবী'র পাঠ পর্যায়ক্রমে বিবর্তিত হয়েছে এবং বিকাশ লাভ করেছে। পাঠভেদ-সংবলিত ‘রক্তকরবী'র এই সংস্করণটির মধ্যে তার একটি পূর্ণাঙ্গ ইতিহাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা যায়। এখন, পাণ্ডুলিপি-বিবর্তনের চিত্রটি সামনে রেখে পারস্পরিক তুলনায় খসড়াগুলির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা যেতে পারে। আগেই বলেছি, অনেকটা “কবির দীক্ষা’ অথবা ফাগুনীর সূচনা-র মতো প্রথম খসড়াটি নিছক সংলাপ-সর্বস্ব, বলা যায় তা রক্তকরবী'র ভ্রণ রূপ। তার মধ্যে নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রের মৌল আদল ও সংলাপের মূল কাঠামোটি বিধৃত থাকলেও বস্তুত তার ভিতর দিয়ে নাটকীয় রূপটি পাওয়া যায় না। দ্বিতীয় খসড়ায় পৌঁছে রবীন্দ্রনাথ এই নাটকীয় রূপটি তুলে ধরেছেন উপযুক্ত আঙ্গিকে। এই খসড়াটির সূচনায় রয়েছে নাট্যপরিচয়, যার ভিতর দিয়ে কবি নাটকটির বিষয়বস্তু ও ভাবগত তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেছেন। অর্থাৎ এই স্তর থেকেই নাটকটি যথার্থ রূপ নিয়েছে। তৃতীয় খসড়াটি এরই অনুগামী। এই স্তরে কবির মনে যক্ষপুরীর ভাবনাই প্রাধান্য পেয়েছে এবং এই খসড়া দুটির আবহ সেইভাবেই রচিত। পরবর্তী চতুর্থ এবং পঞ্চম খসড়াটির নাম দেওয়া হয়েছে নন্দিনী (এই স্তরে 'নন্দিনীর দুটি খসড়া পাওয়া যাচ্ছে, এ কথা আগে উল্লিখিত হয়েছে)। অর্থাৎ কবির দৃষ্টি পড়েছে নন্দিনীর চরিত্রের উপর। ফলে, নন্দিনী চরিত্রটি উদ্ভাসিত হয়ে উঠেছে, সমগ্র নাটকের মধ্যে চরিত্রটির প্রাধান্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। চতুর্থ খসড়া থেকে সপ্তম খসড়া পর্যন্ত, শব্দগত পাঠান্তর ছাড়া অন্য কোনো পরিবর্তন চোখে পড়ে, না । এই অর্থে এই স্তরটিকে 'নন্দিনী'র স্তর বলা যেতে পারে। অতঃপর অষ্টম খসড়ায় রবীন্দ্রনাথ সরাসরি নাটকটির নাম রেখেছেন "রক্তকরবী এবং পরবর্তী নবম ও দশম খসড়া বহুলাংশে তারই অনুসারী। বস্তৃত, সর্বশেষ এই স্তরটিই নাটকটির চতুর্থ বা রক্তকরবীস্তর। বিভিন্ন খসড়ার ভিতর দিয়ে নাটকটি শেষ পর্যন্ত এই অষ্টম খসড়ায় পৌঁছে