বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রসাহিত্যে কান্ত প্রেম ఏ) বাহিক রূপ যে বহিজগতের ইন্দ্রিয়ুসম্ভোগের মধ্যে নাই, তাহার প্রকাশ যে একান্ত অস্তরের মধ্যে, এই তথ্যটি অমুভব করিয়াই কবি বলিয়াছেন। “কাছে গেলে রূপ কোথা করে পলায়ন, দেহ শুধু হাতে আসে শ্রাস্ত করে হিয়া। প্রভাতে মলিন মুখে ফিরে যাই গেহে ; হৃদয়ের ধন কভু ধরা যায় দেহে ।” অথবা— “অপবিত্র ও কর পরশ সঙ্গে ওর হৃদয় নহিলে ! মনে কি করেছ বঁধু, ও হাসি এতই মধু প্রেম না দিলেও চলে শুধু হাসি দিলে ?” প্রেম ছাড়া সমস্ত জীবন যে অর্থহীন তাহা অনুভব করিয়া কবি বলিয়াছেন, “সেইটুকু মুখখানি, সেই দুটি হাত, সেই হাসি অধরের ধারে, সে নহিলে এ জগৎ শুষ্ক মরুভূমিবং নিতাস্ত সামান্য একি এ বিশ্বব্যাপারে।” “গুপ্তপ্রেম” কবিতাটিতে কবি বলিয়াছেন যে— “রূপসী নহি, তবু আমারও মনে প্রেমের রূপ সে তো স্বমধুর। ধন সে যতনের শয়নস্বপনের করে সে জীবনের তমোদুর। আমার অপমান সহিতে পারি প্রেমের সহেন তো অপমান অমরাবতী ত্যেজে হৃদয়ে এসেছে যে, তোমারো চেয়ে সে যে মহীয়ান ।