পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রবীন্দ্রসাহিত্যে কান্ত প্রেম 为6哈 যে সহজ প্রেমরস রহিয়াছে তাহাকে এমন করিয়া প্রকাশ করে যে মানুষের সমস্ত স্বরূপ তাহার মধ্যে লয় হইয়। ষায । উপনিষদে জগৎকে আনন্দরূপ বলিয়া বর্ণনা করা হইয়াছে—“আনন্দকপমমৃতং যদু বিভাতি’। ‘মৈত্রেী’ ও ‘যাজ্ঞবল্কের উপাখ্যানে বারম্বার লিখিত হইয়াছে যে যাহা কিছু আমব দেখিতে চাই তাহাই আমাদের আত্ম-কামনাব নামান্তব মাত্ৰ—“নবা অরে মৈত্রেয়ি পত্যু:কামায় পতি:প্রিয়োভবতি, আত্মনস্তু কামায়ু পতি: প্রিযো ভবতি ।” এই সমস্ত বাক্যের প্রচলিত ব্যাখ্যায় যে আত্মাকেই আনন্দময় বলিযা বলা হইয়াছে। “রসোহেবায়ং লক্কা আনন্দীভবতি”। উপনিষদের কোন কোন স্থানে আবাব আনন্দকে শিক্ষাব বৃত্তি বলিয়া বলা হইঘাছে। আবাব ইহাতে বলা হইয়াছে যে “যথা প্রিয়া স্ত্রিয়া সম্পরিষক্তে ন বাহং আস্তবঞ্চ বেদ” ইত্যাদি—অর্থাৎ প্রিয়া স্ত্রীকে অঙ্গিন কবিলে যে আনন্দ হয ব্রহ্মীনন্দ ও তজ্জাতীয় । অথৰ্ব্ববেদে দেখা যায় "ব্রহ্মচর্ষ্যেণ কন্যা যুবানং বিন্দতে পতিম্।।” এই সমস্ত বিভিন্ন স্থানের বিভিন্ন জাতীণ বাক্য পৰ্য্যালোচনা কবিলে বুঝা যায় যে বৈদিক যুগেও আত্মাকে আনন্দস্বরূপ বলিফা মনে কবা হইত এবং সেই আনন্দের পবিচ আত্মপ্রেম । আনন্দই আমাদের একমাত্র চাওয়ার জিনিষ এবং সকল চা ওয়াব মধ্যে আমরা আত্মাকে চাই, এইজন্য আত্মাকে আনন্দময় ও জ্ঞানম্বরূপ বলিখা বলা হইয়াছে । প্রিধালিঙ্গনেব মধ্যে হৃদলে যে রসৈকতানতা ঘটে সেই রসৈকতানতাব সাৰূপ্য প্রাচীণেবা উপলব্ধি কবিয়াছিলেন । কন্যা বা যুবতী যে বসৈকতনতার সহিত পতিকে সন্ধান কবে সেই বসৈকতানতার মধ্যেও যে একটি ব্ৰহ্মাচরণ বা ব্রহ্মচৰ্য্য রহিয়াছে তাহাও প্রাচীনের বলিয়া গিয়াছেন । দেহজ-কামের মধ্যেও আত্মা আপন স্বরূপকে সন্ধান করে । এবং সেই স্বরূপকে দেহের মধ্যে খুজিতে গিয়া মোহগৰ্ত্তে নিপতিত হয়। কিন্তু এই অন্বেষণের ফলে ক্রমশ: এই বোধ জন্মে যে কামেব আকাঙ্ক্ষা দেহানুসন্ধানের সীমাব মধ্যে সম্পূর্ণ হইবার নহে। তাহার চরম সার্থকতা ও পবিপূৰ্ত্তি প্রেমরসের স্বরূপান্নুভূতির মধ্যে, এবং তাহাতেই আমাদের চরম প্রতিষ্ঠা ও চবম সাক্ষাৎকার ।