বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২৮ রবি-দীপিত তবু প্রেম বলে “সত্য ভঙ্গ হবে না বিধির । আমি তার পেয়েছি স্বাক্ষর-দেওয়া মহা অঙ্গীকার চির অধিকার লিপি ” তাই স্ফীতবুকে সৰ্ব্বশক্তি মরণের মুখের সম্মুখে দাড়াইয়া স্নকুমার ক্ষীণ তমুলতা বলে “মৃত্যু তুমি নাই”—হেন গৰ্ব্ব কথা ।” অজবিলাপের মধ্যে কি রতিবিলাপের মধ্যে আমরা অনেক করুণ কথা শুনিতে পাই কিন্তু মহামহিম অমরত্বের সূচনা দেখিতে পাই না । সেখানে দেখিতে পাই— “মরণং প্রকৃতিঃ শরীরিণাম বিকৃতি-জীবিতমুচ্যতে বুধৈ: ক্ষণমপ্যবতুিতে শ্বসন যদি জন্তুনমু লাভবানসেী।” সেখানে বশিষ্ঠ-শিষ্য বুলিয়াছেন যে, যখন নিজের দেহের সহিতও আত্মার ংযোগ ও বিয়োগ শুনা যায়, তখন বহিলোকের সহিত বিয়োগ জ্ঞানীলোককে সন্ত্রস্ত করিতে পারে না । উপনিষদের মৈত্ৰেয়ী সম্বন্ধে আমরা পড়িয়াছি যে, আর সমস্ত বস্তুই নশ্বর, কেবল আত্মপ্রেমই অবিনশ্বর কারণ আত্মপ্রেমের বিশ্রাম আত্মানন্দের মধ্যে এবং আনন্দই আত্মার স্বরূপ। যুগল প্রেমের মধ্যে যে আত্মানন্দের এই অমৃত স্বরূপ বিরাজ করিতেছে তাহা সংস্কৃত কবিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নাই। আমাদের আত্মাশী: যেমন আত্মার অমরত্ব ঘোষণা করে, প্রেমও যে তেমনি আমাদের অমরত্ব ঘোষণা করে এ কথা সংস্কৃত সাহিত্যে প্রায় দেখা যায় না । রবীন্দ্রনাথের মানসমুন্দরী কবিতাটা প্রথম কল্পনা লইয়া আরম্ভ। কিন্তু ক্রমশঃ দেখিতে পাই যে, কল্পনাটা তাহার কল্পলোককে পরিত্যাগ করিয়া ক্রমশ: