বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'రిప్రి রবি-দীপিত সিন্ধু পারে কবিতাটিতে অবগুণ্ঠত রমণীর আকর্ষণে বহুদূর ভ্রমণ করিয়া, জীবনের বহু বিচিত্র ব্যাপারের মধ্য দিয়া আসিয়া যথার্থ লগ্নে কবি রমণীর অবগুণ্ঠনখানি মোচন করিলেন । “স্বধীরে রমণী দুবাহু তুলিয়া—অবগুণ্ঠনথানি উঠায়ে ধরিয়া মধুর হাসিল মুখে না কহিয়া বাণী। চকিতে নয়ানে হেরি মুখপানে পড়িচু চরণ তলে— “এখানেও তুমি জীবন দেবতা” । কহিনু নয়নজলে । সেই মধু মুখ, সেই মুছ হাসি, সেই স্বধাভরা আঁখি চিরদিন মোরে হাসাল কাদাল, চিরদিন দিল ফাকি ৷” এই কবিতাটি হইতে দেখা যায় যে, জীবনদেবতার যেমন নানা বিলাসলীলা আমাদের চিত্তের মধ্যে নানা শিহরণ জাগাইয়া তুলে অথচ তাহার নিজের রূপটি সৰ্ব্বদাই আমাদের দৃষ্টিকে এড়াইয়া যায়, নারীও তেমনি যেন আমাদের জীবনদেবতা হইয়া রহিয়াছেন । তাহার প্রেম সম্ভোগ করিতে গিয়া নানা বিলাসবিভ্রমের ছটার মধ্যে আমরা আমাদিগকে হারাইয়া ফেলি। কিন্তু আমাদের অন্তরঙ্গ উৎসরূপে বিরাজমান, আমাদের সকল শক্তির প্রস্রবণরূপে মূৰ্ত্তিমতী সৌন্দৰ্য্যবাসনারূপে অনন্তের প্রতিমূৰ্ত্তিস্বরূপে যে যথার্থ নারীমূৰ্ত্তি রহিয়াছেন, তাহাকে আমরা দেখিতে পাই না । কবি এই ভাবটী “চৈতালীর” অনেক কবিতাতে প্রকাশ করিয়াছেন। একটি কবিতাতে তিনি বলিতেছেন— শুধু বিধাতার স্বষ্টি নহ তুমি নারী ! পুরুষ গড়েছে তোরে সৌন্দৰ্য্য সঞ্চারি 崇 来源 崇 লজ্জা দিয়ে, সজ্জা দিয়ে, দিয়ে আবরণ, তোমারে দুলাভ করি করেছে গোপন।