বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S¢९ রবি-দীপিত পঞ্চশরে দগ্ধ করে করেছ এ কী, সন্ন্যাসী, বিশ্বময় দিয়েছ তা’রে ছড়ায়ে । ব্যাকুলতর বেদন তা’র বাতাসে উঠে নিঃশ্বাসি’ অশ্রু তা’র আকাশে পড়ে গড়ায়ে । ভরিয়া উঠে নিখিল ভব রতি-বিলাপ-সঙ্গীতে সকল দিক র্কাদিয়া উঠে আপনি । ফাগুন মাসে নিমেষ মাঝে না জানি কা’র ইঙ্গিতে শিহরি উঠি মূরছি পড়ে অবনী । ইহার মধ্যে হৃদয়-যন্ত্রের যন্ত্রণা তরুপল্লবের গুঞ্জরণের মধ্যে দিয়া গুঞ্জিত হইয় উঠিতেছে। কিন্তু ১৩৩৬ সালে লিখিত ‘মহুয়া’র উজ্জীবন’ কবিতাটিতে দেখা যায়— ভম্ম-অপমান শয্যা ছাড়ো, পুষ্পধনু, রুদ্র-বহ্নি হ’তে লহ জলদর্চি তনু । যাহা মরণীয় যাক ম’রে, জাগ অবিস্মরণীয় ধ্যান-মূৰ্ত্তি ধ’রে। যাহা রূঢ়, যাহা মূঢ় তব •যাহা স্থল, দগ্ধ হোক, হও নিত্য নব । মৃত্যু হ’তে জাগো, পুষ্পধন্থ হে অতনু, বীরের তন্ততে লহ তনু ॥ 拳 礫 来源 举 দুঃখে মুখে বেদনায় বন্ধুর যে-পথ, সে-দুৰ্গমে চলুক, প্রেমের জয়রথ । তিমির তোরণে রজনীর মন্দ্রিবে যে রথচক্র নির্ঘোষ-গম্ভীর। উল্লজিয়া তুচ্ছ লজ্জা ত্রাস, উচ্ছলিবে আত্মহারা উদ্বেল উল্লাস ।