বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/১৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৬৬ রবি-দীপিত আপনার স্বরূপকে সমস্ত দ্বিধাদ্বন্দ্ব হইতে মুক্তি দিয়া বলদৃপ্ত জয়ের সহিত জগতের আলোকের মধ্যে আপনাকে প্রদীপ্ত করিয়া তুলে এবং নিজের মুক্তির মধ্যে প্রেমিককে মুক্তির দীক্ষায় দীক্ষিত করে— “তোর সাথে চেনা সহজে হবে না, কানে কানে মৃদুকণ্ঠে নয়। ক’রে নেবো জয় ংশয়-কুষ্ঠিত তোর বাণী ; দৃপ্ত বলে লবো টানি শঙ্ক হ’তে, লজ্জা হ’তে, দ্বিধাদ্বন্দ্ব হ’তে নির্দয় আলোতে । জাগিয়া উঠিবি অশ্রুধারে, মুহূৰ্ত্তে চিনিবি আপনারে ; ছিন্ন হবে ডোর, তোমার মুক্ততে তবে মুক্তি মোর।” যুগলের মধ্যে যে প্রেমের চাওয়া তাহা যে আপনার মধ্যে আপনি অনাদি অনস্ত—এ ভাবটি কবির মধ্যে র্তাহার যৌবন হইতেই ফুটিয়া উঠিয়াছে। ক্ষণিক মানে অভিমানে ক্ষোভ-বিক্ষোভে তাহ বিচলিত হইবার নহে। সমস্ত ধরিত্রী আপন বনানী লইয়া বৈশাখের মেঘপুঞ্জ হইতে রসসম্ভাষণ অপেক্ষা করিয়া থাকে। সে মেঘ হয়তো বায়ুভরে কোথায় উড়িয়া যায়। কুঁড়ি ধরে না ফুল ফোটে না, মাটির তলের তরুমূল তৃষিত হইয়া থাকে, পাতা ঝরিয়া পড়ে তবু ধরিত্রীর প্রেমাকাঙ্ক্ষার নিবৃত্তি নাই। দহন।জয়ী সন্ন্যাসীর বেশে রাত্রির পর রাত্রি, দিনের পর দিন কাটাইয়া দারুণ উপবাসের নিষ্ঠুর তপস্যায় সে আপনাকে উৎপীড়িত করিতে থাকে। তখন এক দিন কোন শুভলগ্নে আষাঢ়ের জলধারা আকাশ হইতে প্রেমবন্যায় ছাপাইয়া ধরণীর বক্ষে পড়ে—