বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কাস্তা প্রেম—মহুয়া ১৮৯ গন্ধের লঘু আহবান নাই। অরণ্য-সভায় বনস্পতিব গোষ্ঠি মধ্যে শাল তাল সপ্তপণ অশ্বখেব সহিত আকাশের দিকে শাখা বাডাইয়া মহুয়া-পুষ্পের স্বৰ্য্যাভিনন্দনের গভীর বন্দনা চলিয়াছে। অপ্রসন্ন আকাশেব ভ্ৰভঙ্গে অবণ্য উদ্বিগ্ন হইয়া উঠে, কালবৈশাখীব রুদ্ধ কলবোলে যখন মুক্তপথচারী বিহঙ্গম আৰ্ত্ত হইয় উঠে, মহুয়া তখন তাহাব শাখাবৃহেব মধ্যে তাহাকে আশ্রয় দেয়। অনাবৃষ্টির ক্লিষ্টদিনে বন্ত বুভুক্ষুবা তাহাব তলায় দুর্ভিক্ষেব ভিক্ষাগুলি ভবিষ্ক নেয়। বহু দীর্ঘ সাধনা স্বদূঢ় উন্নত তপস্বীব ন্যায় বিলাসেব চাঞ্চল্যবিহীনতায় সুগম্ভীব হইয়া সে দাডাইয়া আছে। অথচ তাহাব অন্তবের মধ্যে অধীব বসন্তেব ফাল্গুনীর পুষ্পদোলে তাহাব পুষ্পপুট পূর্ণ করিয়া মদিৰাব বস উজ্জ্বল হইয়া উঠিতেছে। বনে বনে তাহাব গন্ধে মধু মক্ষিকাবা চঞ্চল হইয়া উঠে, বন্য নাবীব সেই স্বামন্ত্র হইতে তাহাদেব পূর্ণিমাব নৃত্যমত্ততাব সম্বল সংগ্রহ কবে । তবল যৌবন-বহ্নি তাহাব মজ্জায় মজ্জায় তাহাকে পূর্ণ কবিয়া বাথিয়াছে অথচ সে অটল কঠিন । সমস্ত মহুয। কাব্যেব মধ্যে নাবীব যৌবন-বহ্নি, তাহাব মদিববস, তাহাব উদাম আকর্ষণ, তাহাব ধৈর্য্যগাম্ভীর্য্যেব সহিত, তাহাব আশ্রযচ্ছাযাব সহিত, তাহাব উৰ্দ্ধোন্নত মুক্তিচাবী অনস্তেব আহানেব সহিত কেমন কঠিনে মধুবে মিলন ঘটিয়াছে তাহাই স্বম্পষ্ট হইয়া উঠিয়াছে। প্রকৃতিব সহিত নাবী ও নবলোকের যে একটি অচ্ছেদ্য বন্ধন বহিস্থাছে, নানা বন্ধনেব মধ্য দিয়া নাবীপ্রেম যে বিচিত্র মুক্তিব ইঙ্গিতে আমাদেব অস্তবায়াকে শিহবিত করিয়া দেয়, সে শিহবণ যে শুধু অস্তবেব ভাবোচ্ছাসেব কাবাগৃহেব মধ্যে, আপন অমুভবেব মুক্তি-সঙ্গীতেব মধ্যে আবদ্ধ তাঙ্গ নয়, তাহ মানুষকে নবসমাজেব ও প্রকৃতিলোকের বিচিত্র, দুৰ্দ্ধৰ্ষ সংগ্রামেব মধ্যে মৃত্যুব মধ্যে, বিরহের মধ্যে দুঃখসস্তাপের মধ্যে ধৈৰ্য্যে অটল, গতিতে বাধাবিহীন মুক্তিবিহাৰী করিয়া তোলে। তাহারই আস্ত্রাণ মহুয়া কাব্যেব মধ্য হইতে উচ্ছ্বসিত হইয়া উঠিতেছে। মনে হয় যেন নাবীপ্রেমেব অনুভব ও কল্পনা মামুষেব চিত্তলোকে যা কিছু দীপ্তি, যা কিছু বর্ণচ্ছটা, যা কিছু তপস্যা, যা কিছু শৌৰ্য্য, বীৰ্য্য ও অগ্নিদীক্ষা আনিতে পারে, মহুয়ার পর্ণপুটে কবি তাহ নিঃশেষে ভবিয়া দিয়াছেন। রবি যেন তাহার