বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২০৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহুয়ার পরবর্তী যুগ ఫి: আমরা ধরে রাখতে চাই এবং বস্তু বলে তার আখ্যা দিই এবং এই ভ্রমের জন্যেই আমরা মনে করি যে বস্তু ক্রিয়া থেকে ভিন্ন ; জল যেমন ভিন্ন তার স্রোত থেকে । কিন্তু তত্ত্বদৃষ্টিতে দেখতে গেলে সমস্ত বস্তুর স্বরূপের মধ্য দিয়ে ছুটে চলেছে একটা অখণ্ড গতির প্রবাহ। একটা বস্তুর পর যে আর একটা বস্তু আমাদের চোখে পড়ে সেটা হোচ্ছে বস্তুর প্রবাহ কিন্তু এ তা নয়। এই দৃষ্টিতে বস্তুরূপে বস্তুর কোন সত্ত্ব নাই। বস্তু হোচ্ছে ক্রিয়া স্রোতের একটা মায়িক স্থষ্টি মাত্র তাই প্রবাহের সঙ্গে বস্তুর কোন ভেদ নেই, প্রবাহই একমাত্র সত্য, প্রবাহের একটী কাল্পনিক মূৰ্ত্তিই হোচ্ছে বস্তু। ইয়োরোপীয় দর্শনে বের্গস বিশেষ ভাবে এই মত প্রকাশ কোরতে চেষ্টা কোরেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে সমগ্র বিশ্বে আর কিছুই নেই আছে কেবল একটা গতি বা স্পন্দ প্রবাহ। আমাদের অন্তরের দিব্যদৃষ্টিতে আমরা যদি বস্তুর মোহ থেকে আমাদের মনকে মুক্ত কোরে নিতে পারি তাহোলে একটা অস্ত:সাক্ষাৎকারের দ্বারা এই স্পন-স্বরূপকে প্রত্যক্ষ কোরতে পারি। আমাদের বুদ্ধির স্বভাবই এই যে সে স্পন্দকে গ্রহণ কোরতে পারে না । স্পন্দকে গ্রহণ কোরতে গেলেই সে তাকে টুকরো কোরে একটা অবয়ব দিয়ে তাকে গ্রহণ কোরে থাকে। তাই বুদ্ধি দিয়ে আমরা স্পন্দকে দেখতে পাই না, দেখতে পাই স্পন্দের একটা বিকৃত রূপ, এই বিকৃত রূপটী একটি Geometrical figure বা আকার ও সংস্থানরূপে, বস্তুরূপে আমাদের কাছে প্রত্যক্ষীভূত হয়। একটা পাত্রে যদি অনেক খানি দুধ থাকে আর সেই দুধ লেবুর রসে কিঞ্চিৎ পূর্ণ কোন পাত্র দিয়ে পূৰ্ব্ব পাত্র থেকে উঠিয়ে নি তবে সেই পাত্রে তুলে নেওয়া দুধটা তৎক্ষণাৎ দধি হয়ে যাবে। আমাদের মনে হবে যে পূর্ব পাত্রটি ষেন দধিতেই পরিপূর্ণ। যে পাত্র দিয়ে আমরা দুধ তুললাম সেই পাত্রের গুণেই দুধ দধিরূপে প্রকাশ পেয়েছে তা আমাদের মোটেই মনে হবে না, তেমনি বুদ্ধির পাত্র দিয়ে প্রবাহকে স্পর্শ করা মাত্রই প্রবাহ জমাট বেঁধে বস্তু হোয়ে আমাদের চোখের সামনে .দেখা দেয়। দধি থেকে যেমন আর দুধ ফিরে পাওয়া যায় না তেমনি বস্তু থেকে