বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বনবাণী ృషిణ সচকিয়া বিকশিয়া কাপে তব কিশলয় রাজি সৰ্ব্ব অঙ্গে নিমেযে নিমেষে, ওগো আম্রবন । আমিও তো আপনার বিকশিত কল্পনার সাঞ্জি অস্তলীন আনন্দ আবেশে অমনি নূতন ॥ প্রাণে মোর অমনি তো দোলা দেয় সন্ধ্যায় উষায় অদৃশ্বের নি:শঙ্কিত ধ্বনি, ওগো আম্রবন, আমার যে পুষ্প শোভা সে কেবল বাণীর ভূষায়, নূতন চেতনে চিত্ত আপনারে পরাইতে চায় সুরের গাথনী— গীত ঝঙ্কারের আবরণ ॥” ভূতলের চিরন্তনী কথা যে কুমুমে কুমুমে উচ্ছসিত হোয়ে ওঠে, তরুর সহজ ভাষা যে বাতাসের নিঃশ্বাসে নিঃশ্বাসে, মৌমাছির গুঞ্জনে গুঞ্জনে প্রকাশ পায়, সে ভাষা কবির নিভৃত চিত্তে, কবির ধ্যানে, অন্তরের আভাসে, আশ্বাসে, স্বপ্নে ও বেদনায় সঙ্গোপনে প্রবেশ কোরত এবং মিশে যেত । আমের গন্ধে যেন তিনি জন্মজন্মাস্তরের ভুলে যাওয়া প্রিয় কণ্ঠস্বর শুনতে পেতেন, যেন তার কানে তার নাম ধরে কে ডাকত তাতে তিনি হোতেন রোমাঞ্চিত। ঋতুতে ঋতুতে নব নব রসের সঞ্চার সঞ্চিত হোয়ে থাকত আম্রবনের মজ্জায়, তার যৌবনের সদ্যোৎফুন্ন পুষ্পরাজি পল্লী-ললনার তাদের অলক সজ্জায় ভূষণ কোরে আনন্দিত হোয়ে ওঠে । এই “বনবাণী” সংগ্রহের প্রত্যেকটি কবিতায় এই কথাই প্রকাশ পাচ্ছে যে কবি বৃক্ষলোকের মধ্যে যে প্রাণরস প্রবাহিত হোচ্ছে তার সঙ্গে নিজের