পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শেষ-সপ্তক ২৩৫ আবার এক জায়গায় হয়ত মৃত্যুর বন্দনা গান গাইতে গিয়ে বলেছেন যে কবি তার হংস্পন্দনে, তার রক্তের ছন্দের আনন্দপ্রবাহে শুনতে পেয়েছেন মৃত্যুর বাণী “চল চল”, মৃত্যু বলেছে “চল বোঝা ফেলতে ফেলতে”, “চল মরতে মরতে নিমেষে নিমেষে”। চুপ কোরে দাড়ালেই দেখবে সব গেছে মান হোয়ে। “থেমন থেমনা, পিছন ফিরে তাকিয়ে না, পেরিয়ে যাও পুরোণে, জীর্ণকে, ক্লাস্তকে, অচলকে” । মৃত্যুই নিয়ে গেছে জীবনের ধারাকে তার তীরের বাধন কাটিয়ে মহা সমুদ্রের দিকে । অনন্ত অচঞ্চল বৰ্ত্তমানের হাত থেকে মৃত্যুই স্বষ্টিকে দেয় পরিত্রাণ, অন্তহীন নব নব অনাগতে । শ্ৰী যুক্ত অমিয়চন্দ্র চক্রবর্তীকে লিখিত একটি কবিতায় তিনি তার সমস্ত জীবনের যুগ থেকে যুগান্তরের গতি ছায়া-চিত্রের ন্যায় চোখের সামনে ধরেছেন। এক জায়গায় তিনি বলেছেন—

  • একতারা ফেলে দিয়ে

কখনো-বা নিতে হোলো ভেরী । থর মধ্যাহের তাপে ছুটতে হোলো জয় পরাজয়ের আবর্তনের মধ্যে । পায়ে বিধেছে কাটা, ক্ষত বক্ষে পড়েছে রক্ত ধারা । নিৰ্ম্মম কঠোরতা মেরেছে ঢেউ আমার নৌকার ডাইনে বায়ে, জীবনের পণ্য চেয়েছে ডুবিয়ে দিতে নিন্দার তলায়, পঙ্কের মধ্যে । বিদ্বেষে অনুরাগে, ঈর্ষায় মৈত্রীতে,