বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বীথিকা ૨86 এমনি কোরে কবির হৃদয়ের নানা কল্পনা, নানা বেদনা তার পাঠকদের চিত্তে স্বপ্নের মতন ক’রে নূতন নূতন অনুভবকে ঘনিয়ে আনে, এই কথাটি পাঠিকা কবিতায় অতি সুন্দরভাবে স্পষ্ট হোয়েছে । প্রাত্যহিক জীবনে নানা অনুভূতি নানা স্পর্শ যে মনের মধ্যে ঢেউ খেলিয়ে যায় তাদের উদ্বেগুহীনতার মধ্যে যে একটা নিরুদিষ্ট সৌন্দৰ্য্য আছে একটা মাধুৰ্য্য আছে সেটি কবি তার "ছুটির লেখা” কবিতায় কুন্দর কোরে একে দিতে চেষ্টা করেছেন— “সবুজ সোনা নীলের মায়া ঘিরল তাকে, শুকনো ঘাসের গন্ধ আসে জানলা ঘুরে, পাতার শব্দে, জলের শব্দে, পার্থীর ডাকে প্রহরটি তার অঁাকা-জোকা নানান সুরে সব নিয়ে যে দেখল তারে পায় সে দেখা, বিশ্বমাঝে ধূলার পরে অলজ্জিত, নইলে সে তো মেঠো পথে নীরব এক শিথিল বেশে অনাদরে অসজ্জিত ।” আবার আমাদের জীবনের রঙ্গমঞ্চে যে সমস্ত ঘটনাবলী ছায়া-নাট্যের ন্যায় তাদের রং ফেলে যায় তারা কোন অজ্ঞাত থেকে বৰ্ত্তমানের মধ্য দিয়ে কোন অতীতের দিকে ভেসে যায়। তাদের স্মৃতিটুকু আমরা শুধু ধরে রাখতে পারি আমাদের কাব্যে, আমাদের চিত্রে। চৈত্র শেষে অরণ্যের মাধবীর সুগন্ধের মত কত মুখ কত আনন্দ এমনি কোরে আমাদের হৃদয়কে করেছিল মুগ্ধ, সেদিন এ পৃথিবীতে তাই ছিল সব চেয়ে সত্যি। তার অনুভবের আনন্দ ও বিষাদের স্বরে সমস্ত বিশ্বের যত যন্ত্রণা বাধা— “সেই মুখ দুঃখ তার জোনাকির খেলা মাত্র, যারা সীমাহীন অন্ধকার