বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९(tw- রবি-দীপিত তোমার চক্রতীর্থের পথে পথে ছড়িয়ে এসেছ শত শত ভাঙা ইতিহাসের অর্থলুপ্ত অবশেষ বিনা বেদনায় বিছিয়ে এসেছ তোমার বর্জিত স্বষ্টি অগণ্য বিস্মৃতির স্তরে স্তরে ।” চতুর্থ কবিতাটিতে কবি আষাঢ় মাস থেকে আরম্ভ কোরে কয়েকটি ঋতুর পদচিহ্ন একে গিয়েছেন । সমস্ত ঋতুর মধ্যে নূতন নূতন স্বনারের স্বষ্টির মধ্যে দিয়ে যে একটি অবিচ্ছিন্ন গতি চলেছে সেইটিই এই কবিতাটিতে বিশেষ কোরে ধ্বনিত হোয়েছে। পঞ্চম কবিতাটিতে কতকগুলি প্রাত্যহিক দৃশ্যের স্বন্দর স্বন্দর ছবি একে গিয়েছেন । সমস্ত ক্ষুদ্র খণ্ডের মধ্য দিয়ে যে একটা লোকাতীতের স্পর্শ পাওয়া যায় সেকথা আমাদের স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন । সংসারের নানা পরিচয়ের মধ্য দিয়ে আমরা নিরস্তর ষাতায়াত করি তথাপি আমাদের নিজেদের আমরা চিনতে পারি না, পর্দায় ঢাকা থাকে আমাদের আমি আমাদের কাছ থেকে— “আপনাকে চেনার সময় পায়নি সে, ঢাকা ছিল মোট মাটির পর্দায় ; পর্দা খুলে দেখিয়ে দাও যে, সে আলো, সে আনন্দ, তোমারি সঙ্গে তার রূপের মিল, তোমার যজ্ঞের হোমাগ্নিতে তার জীবনের মুখ দুঃখ আহুতি দাও, জলে উঠক তেজের শিখায়, ছাই হোক যা ছাই হবার ।” সপ্তম কবিতাতে কবি এই কথাই প্রকাশ কোরতে চেয়েছেন যে প্রকৃতির বাহিরের রূপ যেমন নান দিকে বিস্তৃত ও বিচিত্র আমাদের অন্তরের প্রকাশের দিকও তেমনি ভাবে বিচিত্রিত। বাহিরের শোভাকে যখন আমরা অন্তরে গ্রহণ