বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:রবি-দীপিতা.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৭৬ রবি-দীপিত অসীম রহস্য নিয়ে মুহূৰ্ত্তের নিরর্থকতায় লুপ্ত হবে নানা রঙা জলবিম্ব প্রায়, অসমাপ্ত রেখে যাবে তার শেষ কথা আত্মার বীরতা তখনো স্বদুরে ঐ নক্ষত্রের দূত ছুটাবে অসংখ্য তার দীপ্ত পরমাণুর বিদ্যুৎ অপার আকাশ মাঝে, কিছুই জানি না কোন কাজে । বাজিতে থাকিবে শূন্তে প্রশ্নের স্বতীব্ৰ আৰ্ত্তস্বর, ধ্বনিবে না কোনই উত্তর ।” “প্রজাপতি” কবিতাটিতে কবি বলছেন যে এই বিচিত্র ভূবনে একই সত্য নানা ইন্দ্রিয় দিয়ে নানা প্রাণী গ্রহণ কোরে থাকে। যে যেটি গ্রহণ কোরতে পারে সে তারই খবর রাখে, অন্য কিছুর নয়। প্রজাপতি একথান কাব্য-পুথির উপরে বসে তাকে স্পর্শে পায়, চোখে দেখে । তার বেশী তার ষা সত্য তা তার কাছে একেবারে অসত্য। আমরা সকলেই যার যার জানাটুকুর মধ্যে আবদ্ধ— “আমি যেথা আছি মন যে আপন টানে তাহা হোতে সত্য লয় বাছি । যাহা নিতে নাহি পারে তাই শূন্তময় হয়ে নিত্য ব্যাপ্ত তার চারিধারে । কী আছে বা নাই কি এ, সে শুধু তাহার জানা নিয়ে। জানে না যা, যার কাছে স্বই তাহ, হয় তো বা কাছে এখনি সে এখানেই আছে, আমার চৈতন্য সীমা অতিক্রম করি বহুদূরে রূপের অন্তরদেশে অপরূপ-পুরে।