পাতা:রবীন্দ্র-রচনাবলী (একাদশ খণ্ড) - বিশ্বভারতী.pdf/৫৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় & S& লাগল, ট্র্যাজেডি ঘটল। অপর পক্ষে অতিনির্ভরলোলুপ মেয়ে সংসারে অনেক আছে । তারা এমন পুরুষকে চায় যারা হবে তাদের প্রাণঘাত্রার মোটররখের শোফার। তার চায় পতিগুরুকে, পদধূলির কাঙালিনী তারা। কিন্তু তার বিপরীতজাতীয় মেয়েও নিশ্চয় আছে যারা অতিলালন-অসহিষ্ণু প্রকৃত পুরুষকেই চায় যাকে পেলে তার নারীত্ব প্রতিপূর্ণ হয়। দৈবক্রমে উমি সেই জাতের। শুরুতেই চালককে নিয়ে, গুরুকে নিয়ে, তার প্রাণ হাপিয়ে উঠেছিল। ঠিক সেই সময়ে সে এমন পুরুষকে পেলে যার চিত্ত নিজের অজ্ঞাতসারে খুজছিল স্ত্রীকেই। যার সঙ্গে তার লীলা সম্ভব আপন জীবনের সমভূমিতেই, ষে তার যথার্থ জুড়ি । ভাগ্যের অঘটন শোধরাতে গিয়ে সামাজিক অঘটন দারুণ হয়ে উঠল— এই হচ্ছে ব্যাপারটা। উপসংহারে বলে রাখি, সব মেয়ের মধ্যেই মা আছে, প্রিয়া আছে। কোনটা মুখ্য কোনটা গৌণ, কোনটা এগিয়ে আছে কোনটা পিছিয়ে, তাই নিয়েই তাদের স্বাতন্ত্র্য। ২৭ মার্চ ১৯৩৩ স্বদেশ স্বদেশ ১৩১৫ সালে গদ্যগ্রন্থাবলীর দ্বাদশ ভাগ রূপে প্রকাশিত হয় । এই গ্রন্থে নূতন ও পুরাতন নববর্ষ ভারতবর্ষের ইতিহাস’ দেশীয় রাজ্য’ ‘প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সভ্যতা’ ‘ব্রাহ্মণ সমাজভেদ’ ও ‘ধর্মবোধের দৃষ্টান্ত’ এই কয়টি প্রবন্ধ সংকলিত হইয়াছিল। ‘নৃতন ও পুরাতন ‘সমাজভেদ’ ও ‘ধর্মবোধের দৃষ্টাস্ত' ব্যতীত স্বদেশের অন্তান্ত প্রবন্ধ রবীন্দ্র-রচনাবলীতে ইতিপূর্বেই অন্ত গ্রন্থের (আত্মশক্তি, রবীন্দ্র-রচনাবলী, তৃতীয় খণ্ড । ভারতবর্ষ, রবীন্দ্র-রচনাবলী, চতুর্থ খণ্ড ) অন্তর্গত হইয়াছে, এইজন্ত পুনর্মুদ্রিত হইল না। ‘নূতন ও পুরাতন প্রবন্ধটি য়ুরোপ-যাত্রীর ডায়ারি’র প্রথম খণ্ডের (বৈশাখ ১২৯৮) প্রথম অংশ। সমাজভেদ’ ও ‘ধর্মবোধের দৃষ্টাস্ত’ বঙ্গদর্শনে প্রকাশিত হইয়াছিল।